বাগেরহাট: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দীর্ঘ সাত বছর কারা ভোগ করে নিজের জন্মস্থানে ফিরেছেন বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম খান।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি বাগেরহাটে পৌঁছান।
এসময় বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ, বিএনপি নেতা হাদিউজ্জামান হীরু, সরদার জাহিদুল ইসলাম, হাজরা আছাদুল ইসলাম পান্না, শাহিদা আক্তার, যুবদল নেতা সুজাউদ্দিন মোল্লা সুজন, শহিদুল ইসলাম খোকন, মুন্নাসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শেষে নেতাকর্মীদের নিয়ে নিজ বাড়ি কুচয়ার গোপালপুরে যান মনিরুল ইসলাম খান। পরে বিকেলে কচুয়া উপজেলা বিএনপি আয়োজিত বিজয় মিছিলে অংশ নেন মনিরুল ইসলাম খান।
কচুয়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জিরো পয়েন্ট এলাকায় এসে শেষ হয়।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, কারাবরণকারী বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলাম খান, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে দীর্ঘদিন পরে এলাকায় ফেরায় খবরে নেতাকর্মীদের মাঝে উচ্ছাস-উদ্দিপনা বিরাজ করছে। মনিরুল ইসলাম খানের এই আগমন বাগেরহাটে বিএনপির নেতাকর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধ করবে বলে আশা তৃণমূলের কর্মীদের।
কচুয়া উপজেলা বিএনপির সমন্বয়ক সরদার জাহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পরে মনিরুল ইসলাম খান এলাকায় আসছেন এটা আমাদের জন্য আনন্দের। আমরা সবাই মিলে তাকে গ্রহণ করেছি। বিজয় দিবসে আমরা একসঙ্গে শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছি, খুবই ভালো লাগছে। তার আসার খবরে উপজেলার সব নেতাকর্মীরা খুবই আনন্দিত।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, মাত্র তিন কোটি টাকার মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়েছে। ওই তিন কোটি টাকা এখন ৮ কোটি হয়েছে। উচ্চ আদালত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা ফরমায়েশি মামলায় মনিরুল ইসলাম খানের তরুণ জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা বিজয় দিবসে এর তীব্র নিন্দা জানাই।
৫৫ বছর বয়সী মনিরুল ইসলাম খানের জন্ম বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। কচুয়া উপজেলার সদরের সিএস পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন তিনি, পিরোজপুরের সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরে একই কলেজ থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে যোগদান করেন। ছাত্র জীবনে তিনি ছাত্র দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি বাগেরহাট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, কচুয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে জেল খেটেছেন। দীর্ঘ সাত বছর কারাভোগের পর নতুন করে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তিনি কারামুক্ত হন। ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে বলে জানান মনিরুল ইসলাম খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৪
আরএ