ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জেলা পরিষদ নির্বাচন

৩০ দিনের মধ্যে ব্যয়ের হিসাব দেয়া বাধ্যতামূলক

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
৩০ দিনের মধ্যে ব্যয়ের হিসাব দেয়া বাধ্যতামূলক নির্বাচন কমিশনের লোগো

ঢাকা: সদ্যসমাপ্ত দেশের জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ৩০ দিনের মধ্যে সব রকমের ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে সময় গণনা শুরু হবে বিজয়ী প্রার্থীর নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশ হওয়ার দিন থেকে।

সারাদেশের জেলা পরিষদগুলোয় (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ২৮ ডিসেম্বর। জেলা পরিষদে একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সাধারণ সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

এতে চেয়ারম্যান পদে ১৪৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২ হাজার ৯৮৬ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৮০৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্দেশনা অনুযায়ী, এদের সবাইকে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যেই ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে।
 
জেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যাক্তিগত ও নির্বাচনী ব্যয় হিসেবে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ লাখ টাকা, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদপ্রার্থী সর্বোচ্চ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারেন। এর চেয়ে বেশি ব্যয় করলে কিংবা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ‘বেআইনি আচরণ’ করেছেন বলে দোষী সাব্যস্ত হবে।
 
জেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ৭০ এর (২) উপবিধি অনুযায়ী, বেআইনি আচরণকারীকে ন্যূনতম ছয় মাস ও সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
 
আইন অনুযায়ী, প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় দাখিল করবেন তার মনোনীত নির্বাচনী এজেন্ট। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত ফরম ‘ণ’ পূরণ করে হিসাব দাখিল করতে হবে। যা ইসির ওয়েবসাইট বা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেই পাওয়া যায়।
 
ফরমের সঙ্গে প্রতিদিনের ব্যয়ের সকল বিল, রশিদ ও বিবরণী জমা দিতে হবে। ব্যয়ের অর্থ নির্বাচনের জন্য তফসিলি ব্যাংকে খোলা অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তোলন হতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনের বিবরণীর কপিও সংগ্রহ করবেন প্রার্থী বা তার এজেন্ট। এছাড়া অপরিশোধিত ব্যয়ের বিবরণী এবং সকল ব্যয়ের জন্য অর্থপ্রাপ্তির উৎসের একটি বিবরণীও জমা দিতে হবে।
 
ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল এখনো গেজেট আকারে প্রকাশ শুরু হয়নি। চলতি সপ্তাহের শেষে দিকে কিছু কিছু গেজেট প্রকাশ হতে পারে।
 
এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বলেন, গেজেট প্রকাশ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যেই সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৭
ইইউডি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।