ঢাকা, সোমবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জলাবদ্ধতা নিরসনে সব খাল উদ্ধার করতে হবে: ডা. শাহাদাত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪
জলাবদ্ধতা নিরসনে সব খাল উদ্ধার করতে হবে: ডা. শাহাদাত

চট্টগ্রাম: নগরের সব খাল উদ্ধার না হলে জলাবদ্ধতা অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।  

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসণে সবগুলো খাল খনন করে জলপ্রবাহ নিশ্চিত করতে খাল খনন কর্মসূচি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রকল্প সিটি করপোরেশন মাধ্যমে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ গ্রুপিংয়ের কারণে এটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের হাতে চলে যায়।
বর্তমানে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য ১৪ হাজার কোটি টাকার ৪টি প্রকল্প চলছে। সিডিএ’র প্রকল্পে আনা হয়েছে মাত্র ৩৬টি। বাকি ২১টি খালের কী হবে? 

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরের সল্টগোলা ক্রসিং ধোপপুলস্থ তৈয়বিয়া মাদ্রাসার পাশে খাল খনন কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

এসময় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড অফিস প্রাঙ্গণে পরিছন্নকর্মীদের হাজিরা যাচাই করেন। পরে বিপুল সংখ্যক মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে খালখনন কার্যক্রমে অংশ নেন।  

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে মেয়র বলেন,  এই যে এক একটা অনিয়ম কিন্তু আওয়ামী লীগের সময় থেকে শুরু হয়েছে। ক্ষমতায় থেকে তারা জনগণের জন্য কোনো উন্নয়নের কাজ করেনি। এখানে রাস্তাঘাটের কোনো উন্নয়ন তারা করেনি। খাল খনন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেনি। আমাদেরকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচিতে ফিরতে হবে। এটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ ছিল। তিনি আধুনিক, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনের জন্য এ কর্মসূচি শুরু করেন। আমরা খালগুলো থেকে পলিথিন অপসারণের জন্য সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যবস্থা নিচ্ছি। নালায় ময়লা, প্লাস্টিক, ককশিট ফেলা বন্ধ করতে হবে। আমি নিজে মহেশখালসহ বিভিন্ন খাল পরিদর্শন করেছি। পলিথিনের স্তর আটকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। এজন্য সবার প্রতি অনুরোধ, খাল ও নালাগুলো পরিষ্কার রাখুন।

তিনি বলেন, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে খেলার মাঠ করা হবে। শহীদ জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচি পুনরুজ্জীবিত করার পাশাপাশি ৪১টি ওয়ার্ডে মাঠ তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এরই মধ্যে ছয়টি মাঠের কাজ শুরু হয়েছে।  


চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীদের সতর্ক করে মেয়র বলেন, ডোর টু ডোর প্রকল্পের দায়িত্বশীলদের সাথে বৈঠক করে নিশ্চিত করবেন, তাদের যথেষ্ট জনবল ও ময়লার গাড়ি আছে কি না। যদি না থাকে, তাদের অর্ডার বাতিল করব। জনগণ থেকে পরিচ্ছন্নতার জন্য নির্ধারিত ফি বেশি নিলে তাদের চাকরি বাতিল করা হবে। জনগণের সেবা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।

ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বর্ষাকালে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা মারাত্মক আকার ধারণ করে। তাই আমাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে উদ্যোগ নিয়ে নিজেদের এলাকাকে পরিস্কার রাখতে হবে। জনগণ দখলমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন না রাখলে জলাবদ্ধতার সমস্যা কোনদিনও সমাধান হবে না। জনগণকে সম্পৃক্ত করে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে নগরের খাল ও বড় নালাগুলো পরিষ্কার করার এই উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।  

মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী মো. হানিফ সওদাগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক কামাল উদ্দিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হাসান, সিনিয়র সহ সভাপতি হাসান মুরাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মো.হোসেন, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. আজম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. জাহেদ, সহ সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, মো. আলী, যুগ্ম সম্পাদক মো. হোসেন মনা ও অ্যাডভোকেট মো. হাসান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।