ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ পৌষ ১৪৩১, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

সংস্কার ছাড়া জাতীয় নির্বাচন নয়: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
সংস্কার ছাড়া জাতীয় নির্বাচন নয়: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল

মাদারীপুর: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, 'সংস্কার না করে এখন নির্বাচন দেওয়া হলে ২০১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো ভোট হবে। ছাত্রজনতার এই রক্ত বৃথা যাবে।

নির্বাচন ভালো করতে গেলে কমপক্ষে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ বিভাগ, সিভিল বিভাগ, বিচার বিভাগসহ ৭-৮টি জায়গায় সংস্কার করতে হবে। এরপর নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। ’

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে মাদারীপুর শহরের লেকের পাড়ের স্বাধীনতা অঙ্গনে জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন,'লগি-বৈঠার আমল থেকে ২০২৪-এর ৫ই আগস্ট পর্যন্ত হাজার হাজার খুনের সমস্ত দায় শেখ হাসিনার। সব খুনের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা। এই শেখ হাসিনার নামে ২২৬টি মামলা হয়েছে, রেড অ্যালার্ট হয়েছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, দুদকে মামলা হয়েছে। যে ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের নেতাকর্মীদের ফাঁসি দিয়েছিল, সেই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার ফাঁসির আয়োজন চলছে।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, 'শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। যেখানকার মাল সেখানেই গেছে। ভারতে বসে এখনও ষড়যন্ত্র করতেছে। কোনো ষড়যন্ত্রে কাজ হবে না। দেশের লোকদের অডিও-ভিডিও বার্তা দিয়ে বলে তোমরা অস্থির হইওনা, আমি যেকোনো সময় ঢুকে পড়বো। আরে, ঢুকে পড়ে দেখেন, জনগণ আপনার কি করে! ৫ই আগস্ট হেলিকপ্টারে পালিয়ে না গেলে গণভবনে লাখ লাখ মানুষ যেভাবে প্রবেশ করছিল, আপনার যে কি অবস্থা হতো এদেশের জনগণ-জাতি ও দুনিয়া দেখতে পেত। '

তিনি বলেন, 'গত ১৫ বছর দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ১৫ বছর নতুন প্রজন্মের যারা ভোটার হয়েছে, তারাসহ আমরা সবাই ৩টি নির্বাচনে ভোট দিতে পারি নাই। ভোটের দিন সকালে জনগণ ভোট দিতে যাবে, তখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পুলিশলীগ বাধা দিয়েছে। বলেছে ভোট হয়ে গেছে, তোমরা বাড়ি চলে যাও। '

জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, 'যারা শেখ হাসিনা সরকারের বিরোধিতা করেছে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। যারা সরকারবিরোধী আন্দোলন করেছে তাদের চাকরি হয়নি। বিভিন্ন পরীক্ষায় পাস করেও যখন পুলিশি তদন্ত হয় তখন বলা হয় জামায়াত-শিবির পরিবারের সদস্য, তাই সরকারি কোনো চাকরি হয়নি। বিরোধী দল হলেই তাদের আর সরকারি চাকরি দেওয়া হবে না। ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরিসহ সব সুযোগ-সুবিধা একটি দল ও একটি পরিবারের কাছেই গত ১৫টি বছর জিম্মি ছিল। '

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মাদারীপুর জেলা শাখার আমির মাওলানা মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ, ফরিদপুরের সহকারী অঞ্চল পরিচালক মো. দেলোয়ার হুসাইন, ফরিদপুর অঞ্চলের টিম সদস্য সামচুল ইসলাম আল বরাটি, মাদারীপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি হাফেজ এনায়েত হোসেন, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমানসহ অন্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।