ঢাকা: ‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার’—২০২৪ সালটা যেন এমনই কেটেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বছরের শুরুতে তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারের নানা ধরনের চাপ মোকাবিলা করতে হিমশিম খেয়েছে বিএনপি।
বছরের শুরুতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নেয় দলটি। তারই অংশ হিসেবে রাজধানীসহ সারা দেশে সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণমিছিল, গণসংযোগ, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন ধরনের গণমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার শিকার হন দলটির নেতাকর্মীরা। এতে আহত হন হাজার হাজার নেতাকর্মী। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরও কারাবরণ করতে হয়। এসব কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় দলটিকে।
তবে এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ হয় ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে পতিত স্বৈরাচারী সরকার পতনের মধ্য দিয়ে। মূলত এরপর থেকেই ১৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ফুরফুরে অবস্থানে রয়েছে বিএনপি। যেখানে দলটির নেতাকর্মীদের আন্দোলন কর্মসূচিতে ঠিকভাবে পাওয়া যেত না, সেখানে এখন নেতাকর্মীদের দখলের রাজপথ থেকে অলিগলি।
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। দলীয় নেতাকর্মীদের রেখে ফ্যাসিস্ট তকমা পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যান ভারতে। এতে রাতারাতি পাল্টে যায় বিএনপির ভাগ্য। ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে কারাগার থেকে মুক্তি পান দলটির কয়েক হাজার নেতাকর্মী। বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘ সময় বিদেশে অবস্থান নেওয়া দলটির নেতাকর্মীরাও দেশে ফিরতে থাকেন। দলটির পছন্দের লোকজন দায়িত্ব পান রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে। বলা যায়, আগামী দিনে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বিএনপি। সব মিলিয়ে অভূতপূর্ব একটি বছর পার করছে দলটি।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দল গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপির নেতারা। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও হচ্ছে সভা-সমাবেশ। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে কোণঠাসা হয়ে পড়া দলটির পালে হাওয়া লেগেছে। তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে মাঠের রাজনীতিতে। তবে রাষ্ট্র পুনর্গঠনে দলটির সামনে এখনও রয়েছে নানামুখী চ্যালেঞ্জ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি এখন সংগঠন গুছিয়ে নিয়ে এসে নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। তবে বিগত দিনে দেওয়া ৩১ দফার রূপরেখা যে কথার কথা নয়, তা প্রমাণ করতে হবে কাজের মাধ্যমে। তাদের সংস্কার প্রস্তাবগুলো নতুন আঙ্গিকে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে।
বিএনপির সামনে যে চ্যালেঞ্জ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ভিন্ন রকম এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বিএনপি। আগামী নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র সংস্কারের ব্যাপারে নিজেদের প্রস্তাবনা ও দলীয় নেতাকর্মীদের কর্মকাণ্ড দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে দলটিকে। রাজনীতিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ এখন কঠিন সংকটে। এবারের নির্বাচনে সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতায় নামতে হতে পারে বিএনপিকে। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দলকে নিয়ে ইসলামী ফ্রন্ট এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-তরুণদের সম্ভাব্য নতুন দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দলটিকে।
একই সঙ্গে বিএনপিকে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে নিয়ে যেতে হবে দেশকে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, দেশের সামরিক-বেসামরিক শক্তি ও সুশীল সমাজের সমর্থন আদায়ও করতে হবে। সঙ্গে রয়েছে লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ।
২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে আন্দোলন করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। দ্বাদশ সংসদের একতরফা নির্বাচনের ছয় মাসের মাথায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনে বদলে যায় দৃশ্যপট। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারামুক্ত হন। রাজনৈতিক মামলায় দলের কারাবন্দি সর্বস্তরের নেতাকর্মীরাও বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠছে। এতে দলটি আবার জনপ্রিয়তা হারানোর চ্যালেঞ্জে পড়েছে। যদিও দলটির হাইকমান্ড কঠোর অবস্থান নিয়ে অনেককে বহিষ্কার করেছেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে লাভবান বিএনপি
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পরে দুটি রাজনৈতিক দল এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে —বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগ বিরোধীদের দখলে চলে গেছে। ৫ আগস্টের পরে বেশ দ্রুততার সঙ্গে খালেদা জিয়াকে মুক্তির আদেশে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি। এরপর বিএনপির বেশ কিছু সিনিয়র নেতা জেল থেকে দ্রুত ছাড়া পান। অনেকে মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি নেতা তারেক রহমানের বক্তব্য বিবৃতি শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রচার করা নিষিদ্ধ ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সংবাদপত্র এবং টেলিভিশনে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারিত হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের এখন আর পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে না। এসব কিছু বিএনপিকে তাৎক্ষণিকভাবে রাজনৈতিক সুবিধা দিয়েছে। গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের শাসনামলকে ফ্যাসিবাদী শাসন হিসেবে তুলনা করেছে বিএনপি।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও রাজনীতিতে ফেরা
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে পাঠানো হয় বেগম খালেদা জিয়াকে। দুই বছরের বেশি সময় কারাভোগের পর করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ সরকার শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। তারপর বিভিন্ন সময় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলেও শর্ত অনুযায়ী তাকে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখা হয়েছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। প্রায় সাত বছর পর গত ৭ আগস্ট বিএনপির জনসভায় খালেদা জিয়ার ভিডিও রেকর্ডিং বক্তব্য প্রচার করা হয়। আর এক যুগ পর গত ২১ নভেম্বর সেনাকুঞ্জে অনুষ্ঠিত সশস্ত্র বাহিনী দিবসে যোগ দেন তিনি।
তারেক রহমানের ফেরা
আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকা অবস্থায় তারেক রহমানের বক্তব্য বা বিবৃতি প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী একটি রিট দায়ের করেন। পরের দিন হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। তারেক রহমানের সব ধরনের বক্তব্য ও বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এটি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। গত বছরের আগস্টে রিট আবেদনকারী সম্পূরক আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে গত বছরের ২৮ আগস্ট এক আদেশে হাইকোর্ট তারেক রহমানের বক্তব্য, বিবৃতি, অডিও ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে সরাতে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেয়। কিন্তু ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের কিছুক্ষণ পর গণমাধ্যমগুলো তারেক রহমানের বক্তব্য ও ভিডিও প্রচার শুরু করে। ফলে, প্রায় ১০ বছর পর গণমাধ্যমে ফিরে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
উন্মুক্ত রাজনীতিতে বিএনপির ফেরা
বিগত এক যুগের বেশি সময় অর্থাৎ ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত যে কোনো রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া বিএনপির জন্য বাধ্যতামূলক ছিল। অনেক সময় আবেদন করেও পাওয়া যেত না অনুমতি। অনুমতি দেওয়া হলেও সেটা দেওয়া হতো কর্মসূচি শুরুর এক কিংবা দুই ঘণ্টা আগে। পাশাপাশি পুলিশের বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর্মসূচি শেষ করা, কর্মসূচির মাঝপথে হামলা হওয়ার ভয় ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। সেই হামলায় উল্টো আসামি করা হতো বিএনপির নেতাকর্মীদের। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির সেই অবস্থা কেটে গেছে। এখন সারা দেশে বাধাহীন পরিবেশে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে দলটি।
হাসিনার পতনে লাভবান বিএনপি
বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে তিনটি বড় অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজনীতির বাঁক বদল ঘটেছে, তার সবগুলোতে দৃশ্যত লাভবান হয়েছে বিএনপি। ১৯৭৫, ১৯৯০ এবং ২০২৪—এসব অভ্যুত্থানের প্রথমটির পর জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পরে নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে, সবশেষ জুলাই-২৪ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিএনপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা
পনেরো বছরে তিন দফার সরকারের মধ্যে দুই দফায় জাতীয় সংসদে বিরোধী দল ছিল বিএনপি। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থাকলেও রাজপথের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সরব ছিল দলটি। আর আন্দোলন দমাতে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে দেওয়া হয় একের পর এক মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা। বিএনপির অভিযোগ দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন-ওয়ার্ডের সাধারণ কর্মী পর্যন্ত এমন কেউ নেই, যাদের বিরুদ্ধে আওয়মী সরকারের সময়ে কোনো মামলা দেওয়া হয়নি। ২০০৯ সালে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় লাখ মামলা দেওয়া হয়। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ নেতাকর্মীকে, যার ৯৯ ভাগই মিথ্যা মামলা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি করার জন্য। গত ১৫ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় লাখ মামলা দায়ের করা হয়। এতে আসামি প্রায় ৪০ লাখ নেতাকর্মী। বেগম খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জের নেতাদের বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়। এমনো নেতা রয়েছেন, যার বিরুদ্ধে এ সময়ে মামলা হয়েছে সাড়ে চারশোর বেশি।
বিএনপির দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিএনপি চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মহাসচিব ছাড়াও অন্যান্য নেতাদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৭টি, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের ৪টি, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ৩টি, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার ১৯টি, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ৪৮টি, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ৩২টি, ড. আব্দুল মঈন খানের ১টি, নজরুল ইসলাম খানের ৬টি, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ৬টি, সালাহউদ্দিন আহমেদের ৩৫টি, বেগম সেলিমা রহমানের ৪টি ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর বিরুদ্ধে ৫টি মামলা দেওয়া হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের মানুষের মাথার ওপর এক ধরনের জগদ্দল পাথর চেপে বসেছিল। ৫ আগস্ট স্বৈরচার শেখ হাসিনা পালানোর পর মানুষের মনে স্বস্তি ফিরেছে। তবে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত শতভাগ সাফল্য আসবে না। সে কারণে যত দ্রুত সম্ভব জনগণের ভোটে নির্বচিত সরকারের হাতে রাষ্ট্র ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ১৫ বছরের স্বৈরশাসকের দোসররা এখনো দেশের প্রতিটি সেক্টরে ঘাপটি মেরে রয়েছে। এদের চিরতরে বিদায় করতে না পারলে প্রকৃত শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসবে না। বিএনপির দীর্ঘ দিনের আন্দোলন সংগ্রামের ফলে ৫ আগস্ট ঘটেছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষ শান্তিতে থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
টিএ/এমজেএফ