ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আইজিপি ব্যাজ পাচ্ছেন কক্সবাজারের তিন পুলিশ কর্মকর্তা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২০
আইজিপি ব্যাজ পাচ্ছেন কক্সবাজারের তিন পুলিশ কর্মকর্তা

কক্সবাজার: কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ সাহসী তিন পুলিশ কর্মকর্তা পাচ্ছেন আইজিপি ব্যাজ। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে আইজিপি ব্যাজ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।

জাতীয় পুলিশ সপ্তাহ-২০২০ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ সদর দপ্তরের প্যারেড মাঠে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের এ ব্যাজ পরিয়ে দেবেন।

আইজিপি ব্যাচের জন্য মনোনীত তিন পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর এবং টেকনাফ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সনজিত দত্ত।

 

জানা যায়, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন ২০১৮ সালের শেষ সপ্তাহে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন কক্সবাজার জেলা পুলিশে যোগ দেন। মাদকদ্রব্য উদ্ধার, মাদকবিরোধী সফল অভিযান, অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপক সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ আইজিপি পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে বলে জানা যায়।  

অন্যদিকে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর কক্সবাজারের ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চের (ডিবি) ওসি থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে মহেশখালী থানার ওসি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। ২০১৯ সালের নভেম্বরের ২৩ তারিখ ৯৬ জন জলদস্যু, শীর্ষ অস্ত্র তৈরির কারিগরের আত্মসমর্পণ, ২০৮টি অবৈধ অস্ত্র, ৪৩০ রাউন্ড গুলি ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও মহেশখালী সন্ত্রাস দমনে সাহসিকতাপূর্ণ অবদান রাখায় তিনি আইজিপি পদক পাচ্ছেন। সম্প্রতি তাকে নিয়ে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে 'কাজের স্বীকৃতি চান মহেশখালী থানার ওসি' এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়। এর পরপরই এই ঘোষণা এলো।

চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা এএসআই সনজিত দত্ত ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে মহেশখালী থানা থেকে টেকনাফ মডেল থানায় যোগ দেন। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবাকারবারীদের গ্রেফতার ও ইয়াবা উদ্ধারে সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় একইভাবে তাকেও আইজিপি পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।  

‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামী ৫-১০ জানুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় পুলিশ সপ্তাহে কক্সবাজারের উল্লেখিত তিনজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ৫৯১ জনকে এই আইজিপি পদক দেওয়া হচ্ছে।  

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম ২০১৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ বিপিএম (বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল) পুরস্কার পান। একইভাবে ২০২০ সালেও তিনি দ্বিতীয়বারের মতো এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। দেশের ৬৪ জন এসপির মধ্যে একমাত্র কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম সারাদেশে পুনরায় বিপিএম পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
এসবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।