ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী হতে পড়তে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
‘ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী হতে পড়তে হবে’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

ঢাকা: ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী হয়ে দেশ চালানোর যোগ্যতা অর্জনে শিক্ষার্থীদের মন দিয়ে পড়াশোনা করার উপদেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, ‘মন দিয়ে পড়াশোনা করবে, মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। দেশকে ভালোবাসতে হবে, দেশের জন্য কাজ করতে হবে।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। নতুন বছরে বই উৎসবের উদ্বোধন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
 
ভবিষ্যতের যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছোট ছোট শিশু, তোমরাই তো একদিন লেখাপড়া শিখে বড় হবে। বড় বড় চাকরি করবে। আবার প্রধানমন্ত্রী হবে, তোমাদের মধ্যে থেকে মন্ত্রী হবে, তোমরাই তো দেশ চালাবে। কাজেই নিজেদের সেভাবে গড়ে তুলতে হবে। ’ 

‘আজকের শিশুরাই সোনার বাংলার সোনার ছেলে-মেয়ে। তারাই এদেশকে গড়ে তুলবে। ’

আরও পড়ুন>>
** 
জেএসসি-জেডিসিতে বেশি ভালো করেছে ছাত্রীরা 
 
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছোট সোনামনিদের বলবো, নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে, পড়তে হবে। লেখাপড়া ছাড়া মানুষের মতো মানুষ হওয়া যায় না। ’

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘ছেলে-মেয়েদের ছোট বেলা থেকে একটা কথা বলেছি। একমাত্র সম্পদ হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষা যদি থাকে, এ সম্পদ কেউ কেড়ে নিতে পারবে না, চুরি করতে পারবে না, হাইজ্যাক করতে পারবে না। ’

‘কাজেই শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে, শিক্ষাই জীবনে চলার পথ করে দিবে। ’

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার মানোন্নয়নে নজরদারির পাশাপাশি বিশ্ব ও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা কারিকুলাম তৈরি করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের শিক্ষা কারিকুলাম তৈরি করতে হবে। কোন কোন বিষয় কীভাবে পড়তে হবে তার সমন্বয় করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য ছেলে-মেয়েরা যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুলগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার। সেখানে সঠিকভাবে পড়াশোনা হচ্ছে কিনা; এই বিষয়টার দিকে একটু বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। এটা খুবই জরুরি।
এ সময় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

পরীক্ষায় কৃতকার্যদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যারা পাস করেছো তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। আর যারা পাস করতে পারেনি তাদের মন দিয়ে পড়াশোনা করার উপদেশ দেন তিনি।

দিনের শুরুতে বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবনে আসা প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, ইবতেদায়ি,মাধ্যমিক ও দাখিল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। তাদের সঙ্গে গণভবন আঙিনায় ছবিও তোলেন শেখ হাসিনা।

এ পর্বে প্রধানমন্ত্রীর হাতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।

এ বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ৯৫.১৮ শতাংশ, আর ইবতেদায়িতে পাসের হার ৯২.৯৪ শতাংশ।

এরপর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭/আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা
এমইউএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।