ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদা না পেয়ে ১০ মোবাইল টাওয়ারে হামলার অভিযোগ ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৫
চাঁদা না পেয়ে ১০ মোবাইল টাওয়ারে হামলার অভিযোগ ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে

রাঙামাটি: চাঁদা না দেওয়ায় রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির চারটি উপজেলায় একটি বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানির ১০টি টাওয়ারে হামলা চালিয়ে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) বিরুদ্ধে।

মোবাইল নেটওয়ার্ক বিছিন্ন উপজেলাগুলো হলো- খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা এবং রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা।

এর মধ্যে খাগড়াছড়ির ছয়টি এবং রাঙামাটির চারটি মোবাইল টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক বিছিন্ন থাকায় বর্তমানে কোম্পানিটির কয়েক লাখ গ্রাহক চরম বিপাকে পড়েছেন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং প্রশাসনিক কাজকর্মে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৩ জানুয়ারি ইউপিডিএফের স্বশস্ত্র সদস্যরা চাঁদা না পাওয়ায় একটি বেসরকারি মোবাইল অপারেটরের ১০টি টাওয়ারের সংযোগ লাইন কেটে দেন এবং কয়েকটি টাওয়ার অফিসে ভাঙচুর করে বিভিন্ন সরঞ্জাম নষ্ট করে দেন।

তবে এ ঘটনায় ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঘটনার সত্যতা জানতে খাগড়াছড়ির জেলার রবি এক্সিয়াটার এরিয়া ম্যানেজার মো. খোরশেদ আলমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি নেটওয়ার্ক না থাকার সত্যতা নিশ্চিত করলেও কি কারণে নেটওয়ার্ক নেই, সেই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার বাবুছড়া, বড়াদম এবং নাড়াইছড়ি এলাকায় রবির পাঁচটি মোবাইল টাওয়ার স্থানীয় সন্ত্রাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এর মধ্যে দুটি বড় এবং তিনটি টাওয়ার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় নেটওয়ার্ক নেই।

ওসি আরও বলেন, চাঁদার জন্য মূলত এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কোনো অভিযোগ পুলিশ এখনো পায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৫
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।