মৌলভীবাজার: চা বাগানে কোনো মদের পাট্টা থাকবে না। সেগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চা শ্রমিকদের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারী গোপালি হাসিনার চোখ শুধু ঢাকা থেকে তার বাপের বাড়ি টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল, দেশের অন্য কোথাও তার চোখ পড়েনি।
চা শিল্পেও শেখ পরিবারে ভাগ বসিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন সারজিস আলম।
রোববার (১২ জানুয়ারি) মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের কুরমা চা বাগান মাঠে চা শ্রমিকদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সমাবেশের প্রতিপাদ্য ছিল—‘ন্যাশনাল টি কোম্পানি (এনটিসি)-সহ সকল চা বাগান অবিলম্বে চালু করো, চা শ্রমিক ও চা শিল্প রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করো, মনুষ্যোচিত মজুরি, শিক্ষা স্বাস্থ্য বাসস্থান ও চাকরি নিশ্চিত করো’।
রোববার বিকেলে কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগান মাঠে পঞ্চায়েত কমিটি ও চা-ছাত্র যুব সংঘের আয়োজনে চা শ্রমিক সমাবেশে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন মনু-ধলই ভ্যালির সভাপতি ধনা বাউরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
সমাবেশে আপন বোনার্জী রুদ্র ও ভোলা সিংহের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শ্যামলী সুলতানা জ্যানি, আসাদুল্লাহ গালিব ও কুরমা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক ইউসুফ খাঁন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চা শ্রমিক কন্যা খাইরুন আক্তার, স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশী, চা শ্রমিক নারী নেত্রী গীতা রানী কানু, বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জান্নাতুল জেমি।
বক্তারা বলেন, চা বাগানের প্রেক্ষাপটে সকল বন্ধ চা বাগান অবিলম্বে চালু করা, শ্রমিক ও চা শিল্প রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করা এবং মনুষ্যোচিত মজুরির ব্যবস্থা করতে হবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক চা বাগানের সন্তান প্রীতম দাশ বলেন, চা শ্রমিক জনগোষ্ঠী যুগ যুগ ধরে বৈষম্যের শিকার। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থায় অবাধ লুটপাট চা শিল্প ও শ্রমিককে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। চা শ্রমিকদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, চাকরি নিশ্চিয়তাসহ সর্বোপরি চা শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নয়ন করতে হবে।
সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
বিবিবি/এমজেএফ