ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

৫ শিক্ষার্থী হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
৫ শিক্ষার্থী হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

ঢাকা: জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয় পাঁচ শিক্ষার্থী হত্যায় জড়িতদের ৪৮ ঘণ্টা মধ্যে গ্রেপ্তার না করলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের সামনে অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে জুলাই অভ্যুত্থানে সক্রিয় ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হচ্ছে। আগামী শনিবারের মধ্যে যদি তাদের গ্রেপ্তার করে বিচার করা না হয়, তাহলে ইনকিলাব মঞ্চ রোববার শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে গিয়ে অনশন করবে।

এ সময় তিনি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা এবং দলটির উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান।

১২ ডিসেম্বর ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির তাজবির হোসেন শিহানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একইদিন নারায়ণগঞ্জে এআইইউবির শিক্ষার্থী সীমান্তকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেলে তিনি মারা যান।  

১৮ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচলের ২ নম্বর সেক্টরের লেক থেকে সুজানা আক্তার নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধারের পর সেখান থেকে সাইনুর রশিদ ওরফে কাব্য নামে আরেক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়। একইদিন চট্টগ্রাম থেকে জসিম উদ্দিন নামে একজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

শরিফ বলেন, গতকাল কৃষকদলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জসিমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার চাচা বলেছেন, আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে। অথচ প্রথম আলো নিউজ করেছে, খাবারের উচ্ছিষ্টের ব্যবসা নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। একটা গণমাধ্যম মিসলিডিং করলে সেটা কীভাবে অন্যরা কপি করে দেখুন। আমরা দেখেছি, শহীদ ফাহমিনের ক্ষেত্রে একটি মূলধারার গণমাধ্যম সংবাদ করেছে, এটিএম থেকে টাকা তুলতে গেলে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়, অন্যরা তা কপি করেছে। এভাবে বিপ্লবীদের চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে বললাম। তা না করে এখন প্রত্যেক রাজনৈতিক দল ভোটের রাজনীতিতে ফিরে গেল এবং আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করল। প্রত্যেকে আওয়ামী লীগের ব্যবসা-বাণিজ্যে ভাগ বসাল। বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীসহ যে যার ইচ্ছেমতো আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের সরকার মনে করে এমনভাবে কথা বলেছি, যেন এই সরকার বেকায়দায় না পড়ে। কিন্তু তাদের রক্ষা করতে করতে দেখি, জুলাই অভ্যুত্থানের সক্রিয় ছাত্রজনতার নিরাপত্তা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। ছাত্রজনতাকে অনিরাপদ করে সরকারকে নিরাপদ রাখার দায় আমাদের নেই। যদি পারেন তাহলে নিরাপত্তা দেন, নইলে নির্বাচন দিয়ে সরে যান। আপনাদের পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার জন্য পাঠানো হয়নি। আপনাদের ক্ষমতায় পাঠানো হয়েছে বিচারের জন্য।

ছাত্র-উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্য করে শরিফ বলেন, আপনারা অনেক কাজ করতে চেয়েও করতে পারছেন না। সে দায় আপনাদের ওপর নিচ্ছেন কেন? আপনারা কোনো কাজ না পারলে সংবাদ সম্মেলন করেন। কোন কোন উপদেষ্টা, আমলা আপনাদের বাধা দিচ্ছেন, তা জাতির সামনে প্রকাশ করুন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
এফএইচ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।