ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫
‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা’ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম

কুষ্টিয়া: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সারা জাতি যদি সোচ্চার থাকি এবং প্রেসার রাখতে পারি তাহলে শেখ হাসিনাকে ঠিকই দেশে আনা হবে। তার (শেখ হাসিনা) বাবার খুনিকে যেভাবে খুঁজে খুঁজে নিয়ে আসছে।

ঠিক তেমনি অন্তর্বর্তী সরকার এবং পরবর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব হবে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা।  

তিনি বলেন, এর জন্য যত রকমের ইন্টারন্যাশনাল প্রেসার তৈরি করা যায় সেটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে একটা হার্ড লাইনে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। সুফি ইসলামকে তারা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। বিদেশে আমাদের যারা শত্রু তারা এটাকে নিয়ে খেলছে।  

তিনি বলেন, আপনি মাজার পছন্দ করেন না সেখানে যাবেন না। কিন্তু আপনি সেটা ভাঙতে যাওয়াটা মানে হচ্ছে বিদেশে একটা ম্যাসেজ দেওয়া হচ্ছে। এটা খুব ভয়াবহ ম্যাসেজ। এই ম্যাসেজ দেওয়া মানে বিদেশিরা বাংলাদেশের সম্পর্কে একটি খুব বাজে ধারণা নেবে। এটা আমাদের কোনোমতেই হতে দেওয়া যাবে না।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, জুলাইয়ের যে মহৎ বিপ্লব। সেই বিপ্লবের বড় একটা জিনিস হলো আমরা রাষ্ট্র সংস্কার করতে চাই। এবং সেই সংস্কারটা আমরা করছি। কিন্তু আমরা কিছু কিছু জিনিস দেখছি যে এমন কিছু কাজ হচ্ছে যেখানে মানুষ ভাবছে আমাদের বিপ্লবটা কি বেহাত হয়ে গেল।  

তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লব বেহাত হয়নি। জুলাই বিপ্লব তার যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি করেছিল সে রকমই আছে। এবং সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, হাসিনার যে অপকর্ম। আপনারা ভাবছেন,আমরা তো শুনছি সে একটা ফ্যাসিবাদী। আমরা শুধু পত্রিকায় দেখেছি না হলে ফেসবুকে শুনছি। কিন্তু এটাকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে একটা রিপোর্টিং এর মাধ্যমে জানুন। সেটা জানার জন্য শ্বেতপত্র রয়েছে।  

তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, শ্বেতপত্রটি ডাউনলোড করে পড়ে নেবেন। এটা চারশ পৃষ্ঠার একটি অনন্ত দলিল। এটা আমাদের পড়তে হবে। আমার-আপনার টাকা তারা কীভাবে চুরি করেছে, কীভাবে বিদেশে পাঠিয়েছে সেটার ভয়াবহ দলিল এটা।

তিনি যোগ করে বলেন, আমরা একটা রোডম্যাপ দিয়েছি। জনআকাঙ্ক্ষা ছিল রাষ্ট্র নির্মাণ করতে হবে। আমাদের এখন রাষ্ট্র সংস্কার করতে হচ্ছে। এই রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য প্রধান উপদেষ্টা বড় রকমের পদক্ষেপ নিয়েছেন। চার সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন দিয়েছেন। আশাকরি আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঠিকঠাক সব রির্পোটগুলো আমরা পাবো।

জনআকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বলেন, পুলিশ কি আগের মতোই থাকবে। পলিটিক্যাল গভর্মেন্টের হয়ে খুন খারাপি করবে। মানুষের বিপক্ষে মিথ্যা মামলা দিয়ে নাজেহাল করবে। নাকি পুলিশ হবে বাংলাদেশের মানুষের বন্ধু। সেটা নিয়েও কাজ করা হচ্ছে।

বর্তমান সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে অনেকগুলো উন্নয়ন ঘটিয়েছে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, বিশেষ করে প্রতিমাসে অর্থনীতিতে উন্নয়ন যা একটি দেশের জন্য অনেক বড় অর্জন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ইবিসাস) যৌথ উদ্যোগে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. রশিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মো. নসরুল্লাহ।  

এছাড়াও সেমিনারে আলোচক ছিলেন বাসসের বিশেষ সংবাদদাতা ও প্রধান উপদেষ্টা প্রেস উইং এ সংযুক্ত এস. এম রাশিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তাইমুল হক জায়িম।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।