ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কক্সবাজার সৈকতে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলতে হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
কক্সবাজার সৈকতে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলতে হবে

ঢাকা: কক্সবাজারে প্রতিবেশগত (ইকোলজিক্যাল) সংকটাপন্ন এলাকায় হোটেল-মোটেল জোনে (ঝিলংজা মৌজায়) থাকা স্থাপনা ধংস করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে লিজ গ্রহীতাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। 
 

এ বিষয়ে ২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
  
১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিল যে এলাকাকে প্রতিবেশগত (ইকোলজিক্যাল) সংকটাপন্ন হিসেবে ঘোষণা দেয়, পরে সেই এলাকায় বিভিন্ন প্লট লিজ দেওয়া হয়।

কিন্তু সংসদীয় কমিটির সুপারিশে ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি ওইসব প্লটের বরাদ্দ বাতিল করে ভূমি মন্ত্রণালয়। সরকারি এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে বরাদ্দপ্রাপ্তরা হাইকোর্টে রিট করেন। পরে লিজ বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তার কারণ জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলের ওপর শুনানি শেষে ২০১০ সালের ২২ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত ছয়টি নির্দেশনা দিয়ে রিটগুলো খারিজ করে দেন।  

এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের পর ২০১৫ সালে তা খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের ওই রায় রিভিউ চেয়ে কয়েকজন লিজগ্রহীতা রিভিউ আবেদন করেন। যেগুলো ২০১৮ সালে খারিজ হয়ে যায়।
 
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিলের পরে যেসব লিজ দেওয়া হয়েছিলো এগুলো পরিবেশের খাতিরে বাতিল করা হবে। ভবিষ্যতে যেন লিজ না দেয়। এ রায়ে প্রমাণ হলো পরিবেশকে যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে। এ রায়টি একটি গাইডলাইন দিচ্ছে, ভবিষ্যতে গাইডলাইন লংঘন করলে আদালত অভিযোগে পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।
 
লিজ বাতিলের পর যারা গ্রহীতা ছিলেন তাদেরকে ক্ষতিপূরণও দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ, জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।