ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বড়পুকুরিয়া মামলায় খালেদা জিয়াসহ তিনজন খালাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২৪
বড়পুকুরিয়া মামলায় খালেদা জিয়াসহ তিনজন খালাস ফাইল ছবি

ঢাকা: বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী  খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক আবু তাহের এ আদেশ দেন।

 

এদিন এ মামলার অভিযোগ শুনানির দিন ধার্য ছিল। প্রথমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের পক্ষে অব্যাহতির (ডিসচার্জ) আবেদনের শুনানি শেষ হয়। এরপর আদালত খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে খালাস দেন।  

একইসঙ্গে বাকি চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন আদালত। তারা হলেন- জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী ও সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।

মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, এমকে আনোয়ার, এম শামসুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও সাবেক জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন মারা গেছেন। আর যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। তাই এ মামলা থেকে তাদের আগেই অব্যাহতি দেয়া হয়।  

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এরপর ২০০৮ সাল থেকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে দীর্ঘ ৯ বছর মামলাটির বিচার কাজ স্থগিত ছিল। সবশেষ ২০১৭ সালের ২৮ মে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। এরপর থেকে মামলাটি অভিযোগ গঠন শুনানি শুরু হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২৪
কেআই/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।