ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গুমের অভিযোগের মামলায় সাবেক দুই র‌্যাব কর্মকর্তাকে সোমবার ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৪
গুমের অভিযোগের মামলায় সাবেক দুই র‌্যাব কর্মকর্তাকে সোমবার ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ 

ঢাকা: বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুমের একটি মামলায় রাঙ্গামাটি ট্রেনিং সেন্টারের ও র‌্যাব-২-এর সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মহিউদ্দিন ফারুকী ও বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনকে আগামী সোমবার (২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ওই আদেশ দেন।

অপর একজন সদস্য হলেন বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

শুনানি শেষে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামীম বলেন, সাবেক দুজন র‍্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে তিনটি অ্যাপ্লিকেশন করেছিলাম। তারা দুজনেই র‍্যাব কর্মকর্তা ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য গুম এবং গুমের সময় সরাসরি নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতেই ট্রাইব্যুনালে আজ দুটি আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন দুটির শুনানি আনতে মঞ্জুর করেছে। আগামী ২ ডিসেম্বর সোমবার আদালত তাদের হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন।  

তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে ট্রাইব্যুনালের আইনে কনফাইনমেন্ট টর্চার ও অ্যাবডাকেশন মিলিয়ে আগে গুমের ব্যাখ্যা ছিল। তবে ২০২৪ এর এমেন্ডমেন্ডের পরে ট্র‍্যাইব্যুনালের আইনে ফোর্সফুল ডিজাপিয়ারেন্স শব্দের যোগের মাধ্যমে সরাসরি গুমকে অপরাধকে ঘোষণা করা হয়েছে। আর এই অপরাধের বিচার এই ট্র‍্যাইব্যুনাল করতে পারবে সে আইন চালু করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, এই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে, তবে আজ প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে গুমের বিষয়ে একটি মামলা করা হয়। এই দুই জনের একজনের নাম আলেপ উদ্দিন ও আরেক জনের নাম মহিউদ্দিন ফারুকী।

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর শনির আখড়ায় জোবায়ের ওমর খানের মৃত্যুর মামলায় এই দুই কর্মকর্তা গ্রেপ্তার আছেন।  

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট দুপুরে যাত্রাবাড়ীর শনিরআখড়া এলাকায় জোবায়ের ওমর খান গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ট) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মামলা করেন জোবায়েরের ভাই।  

পরে গত ১৩ নভেম্বর রাতে বরিশাল মহানগর এলাকা থেকে আলেপ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং একই দিন ভোরে রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী (বেতবুনিয়া) এলাকা থেকে মহিউদ্দিন ফারুকীকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর শনির আখড়ায় জোবায়ের ওমর খানের মৃত্যুর মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক এই দুই কর্মকর্তার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও গুমের এক মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের আগামী সোমবার হাজির করতে নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৪
ইএসএস/এসআইএস  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।