ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

আতিক পরিস্থিতি তারও হতে পারে, শঙ্কা উত্তরপ্রদেশের আরেক নেতার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৩
আতিক পরিস্থিতি তারও হতে পারে, শঙ্কা উত্তরপ্রদেশের আরেক নেতার আজম খান

কলকাতা: সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিবিদ তথা সাবেক সমাজবাদী পার্টির (সপা) সংসদ সদস্য আতিক আহমেদ ও তার ভাইকে দুই সপ্তাহ আগে পুলিশের চোখের সামনে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এই অবস্থায় তাকেও আতিকের মতো গুলি করে মারা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন সপা-র দোর্দন্ড প্রতাপশালী নেতা আজম খান।

 

শনিবার (২৯ এপ্রিল) উত্তরপ্রদেশের রামপুর এলাকায় পুর ভোটের প্রচারে গিয়ে একথা বলেছেন আজম।

এবারে রামপুর পুরসভায় সমাজবাদী পার্টির হয়ে লড়ছেন ফতিমা জাবি। তার হয়েই প্রচার এসেছিলেন প্রবীণ নেতা আজম খান। সেখানেই তিনি বলেন, কী চান আপনারা? এটাই কি চান কেউ এসে আমাদের মাথায় গুলি করুক? এখন সেটাই বাকি আছে। আইনকে বাঁচান। কিছুই হারানোর নেই। সাহস সঞ্চয় করুন। বাধা পেলে পিছিয়ে যাবেন না। এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

২০১৯ সালের ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন আজম। মামলায় ওঠে আদালতে। তিন বছরের কারাদণ্ড হয় আজমের। এরফলে বিধায়ক পদ হারাতে হয় তাকেও। দীর্ঘ অসুস্থতার কারণে রাজনীতির বাইরে ছিলেন আজম খান। এদিন তাকে আবার ভোটের প্রচারে দেখা গেল। এদিনও কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিজেপি শাসকদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার কথায়, বিজেপি হলো রাজনৈতিক নপুংসক।

এদিকে, আতিক আহমেদ ও তার ভাইয়ের হত্যার ঘটনা শুরু থেকে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে খোদ সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) ভারতের শীর্ষ আদালত উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে এ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছে, পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্যেই ১৫ এপ্রিল মতিলাল নেহেরু হাসপাতাল চত্বরে দুই ভাই খুন হলো কেমন করে? তাদেরকে যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা দুষ্কৃতীরা জানতে পারল কিভাবে? তাদেরকে হাসপাতালে গেট পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সে না নিয়ে গিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে হাঁটিয়ে কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? এমন সব প্রশ্ন এসেছে শীর্ষ আদালতের কাছ থেকে।

প্রসঙ্গত, আতিক আহমেদ ও তার ভাইকে খুনের ঘটনা নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি। আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, খুনের ঘটনার মধ্যে তিনি স্পষ্টতই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন। অভিযুক্তদের শেষ করতেই এমন এনকাউন্টারের নাটক করেছে বলে, তার মত।  

আদালতে তার অভিমত, ২০১৭ সালে যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পর থেকে উত্তরপ্রদেশ ‘এনকাউন্টার প্রদেশে’ পরিণত হয়েছে। এরমধ্যে এই কয়েক বছরে ঘটা ১৮৩টি এনকাউন্টারের ঘটনাকে সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি। সেগুলো আদালতকে খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছেন আইনজীবী।

তবে সরকার পক্ষের আইনজীবী মুকুল রোহতাগি আদালতে জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশেই ওই দুই ভাইকে মেডিকেল টেস্টের জন্য দু’দিন অন্তর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তা সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়েছিল। তাই যে কেউ এটা জানতে পারবে। তবে আমরা এ নিয়ে একটি কমিশনও গঠন করেছি। তদন্ত চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
ভিএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।