ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

শ্রীমঙ্গলে ‘শিকারি ডাহুক’ উদ্ধার

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৯
শ্রীমঙ্গলে ‘শিকারি ডাহুক’ উদ্ধার ডাহুক হাতে হৃদয় ও খোকন। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: শ্রীমঙ্গল উপজেলার জামসি এলাকা থেকে ডাহুক শিকারের কাজে ব্যবহৃত মূল শিকারি পাখিটিকে উদ্ধার করেছেন স্থানীয় এক সংবাদকর্মী। বর্তমানে সেই পাখিটি পর্যবেক্ষণে রয়েছে; সুস্থ-স্বাভাবিক হলে তাকে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে।   
 

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে বিপন্ন এ ডাহুকটি উদ্ধার করেন মৌলভীবাজারের সাংবাদিক হৃদয় দেবনাথ। পরে তার সঙ্গে এসে যুক্ত হন স্থানীয় আলোকচিত্রী খোকন থৌনাউজাম।



বাংলানিউজকে তিনি বলেন, সোর্সের মাধ্যমে পাখি শিকারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করার পর পাখি শিকারি ছালিক মিয়া এসে হাজির হন। ছালিক কথা প্রসঙ্গে জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে হাইল-হাওর থেকে পাখি শিকার করে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে বিক্রি করে আসছেন।  

হৃদয় আরও বলেন, শিকারি ছালিক মিয়ার কাছে যে ডাহুকটি রয়েছে এটি ‘শিকারি পাখি’ এবং এ পাখিটি ব্যবহার করেই তিনি প্রতিদিন ১৫-২০টি করে পাখি শিকার করেন।  

একপর্যায়ে হৃদয় সেই শিকারি ডাহুকটি কত হলে বিক্রি করবেন জানতে চাইলে তিনি পাখিটিকে বিক্রি করতে অনীহা প্রকাশ করেন। পরে বন্যপ্রাণী আইন ও পুলিশের কথা বললে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন তার কাছ থেকে শিকারি ডাহুকটি উদ্ধার করা হয়।  

পাখিটিকে আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এক সপ্তাহ পরে তাকে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে বলে জানান সাংবাদিক হৃদয়।  
পাখি শিকারি ছালিক মিয়া এবং তার শিকারি ডাহুক।  ছবি: বাংলানিউজ
সাদা বুকে জলচর পাখি ‘ডাহুক’। এর ইংরেজি নাম White-breasted Waterhen. এরা গড়ে ৩২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। এরা সাধারণত দিবাচর। একা বা জোড়ায় থাকে। উদ্ভিদ ঢাকা সব ধরনের জলাভূমিতে বিচরণ করে। প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার কারণে এদের জীবনও হুমকির সম্মুখীন।  

বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইন (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) এর ধারা অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
বিবিবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।