ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

যা দেখবো তাই লিখবো

বিপন্ন কেয়ার কথা | রহমান মাসুদ

রহমান মাসুদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৬
বিপন্ন কেয়ার কথা | রহমান মাসুদ

সেন্টমার্টিন দ্বীপ, কক্সবাজার থেকে: প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের বয়স নাকি চারশ’ বছর! এ দাবি ভ্যানচালক মোসলেমের। তবে নারিকেল জিঞ্জিরার বয়স যতোটাই হোক না কেনো, এ দ্বীপের কেয়া বনের বয়স প্রায় তারই সমান।



প্রথমে প্রাকৃতিকভাবে দ্বীপের চারপাশে কেয়াঝাড় জন্মালেও পরে বেসরকারি উদ্যোগ ও স্থানীয় সেচ্ছাসেবক এবং সরকারিভাবে কেয়া গাছ লাগানো হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা মমিন উদ্দিন বলেন, কেয়া গাছ তার শত শত শিকড় বালুর মধ্যে গভীর ভাবে প্রবেশ করিয়ে মাটির ক্ষয়রোধ করে। ঝড় বাদলের হাত থেকে, জোয়ার জলোচ্ছ্বাস থেকে মাটিকে রক্ষা করে।

কিন্তু সেই রক্ষাকবচ কেয়ার অবস্থা আজ ভালো নেই। মানুষের অপরিণামদর্শী লোভে আজ বিপন্ন কেয়ার বন।

দ্বীপের চারপাশে গড়ে ওঠা শত শত হোটেল রিসোর্ট, দোকান-পাট খেয়ে ফেলছে কেয়া বন। হোটেল মালিকরা তাদের হোটেলকে দৃশ্যমান করতে অবাধে কাটছেন কেয়ার ঝোপ। এছাড়া জ্বালানির চাহিদাও মেটাচ্ছে কবি-সাহিত্যিকদের রশদ যোগানো কেয়া বন।

ড্রিম নাইট রিসোর্টের ম্যানেজার আজাদ অবশ্য আইনগত ভাবে কেয়া বন কাটা নিষিদ্ধ বলে জানালেন।

তবে স্থানীয়দের দাবি, কেয়া বন ধ্বংস হওয়ায় প্রতি বছর আয়তন কমছে সেন্টমার্টিনের।

এছাড়া তা প্রতিবেশের ওপরও প্রভাব ফেলছে। প্রতি বছর গভীর সমুদ্র থেকে শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে ডিম পাড়তে আসা কচ্ছপও পড়েছে ঝুঁকিতে। এ গাছের তলায় বা কাছেই ডিম পাড়ে তারা। ফলে তাদের আগমনও কমেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৬
আরএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।