ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯ রজব ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শীত-কুয়াশা তীব্র হলে ঝুঁকিতে পড়বে রবিশস্য, শঙ্কায় কৃষক

এইচ এম নাঈম,ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৫
শীত-কুয়াশা তীব্র হলে ঝুঁকিতে পড়বে রবিশস্য, শঙ্কায় কৃষক

ঝালকাঠি: রবি মৌসুমে তীব্র শীত ও কুয়াশা বাড়লে শস্যের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ঝালকাঠির কৃষকরা। এ কারণে বোরো বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নষ্ট হচ্ছে কৃষকের শিম, লাউ, করলা, মিষ্টি কুমড়া, আলু, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবি ফসল।  

গত বছরে বন্যার কারণে দাম চড়া ও বীজ উৎপাদন কম থাকায় চলতি বছরে কৃষকরা সবজি চাষ বেশি করেছেন। কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই তীব্র শীতের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর ঘন কুয়াশায় নষ্ট হবার আশঙ্কায় তাদের স্বপ্নের ফসল। ক্ষতি থেকে ফসল রক্ষায় কয়েক দফা কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ৫ম দিনের মতো বুধবারও দেশের বিভিন্ন জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে, তা আগামী আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। ১ জানুয়ারি থেকে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমেল হাওয়া বয়ে চলছে উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে। তীব্র শীত অনুভূত হওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর জেলায় ৮৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে।  

এছাড়াও ভুট্টা ৫৬০ হেক্টর, গম ১৭২ হেক্টর, আলু ৪২৫ হেক্টর, মিস্টি আলু ৪১ হেক্টর, শীতকালীন সবজি ৭৭০৪হেক্টর, মরিচ ৭৬০ হেক্টর, পেঁয়াজ ১৯ হেক্টর, রসুন ১০ হেক্টর, ধনিয়া ৩৪০ হেক্টর, সরিষা ১০১৭ হেক্টর, বাদাম ১৫২ হেক্টর, তিল ৩৯৬ হেক্টর, সূর্যমুখী ২৭৪ হেক্টর, সয়াবিন ৩২ হেক্টর, মশুর ২৯ হেক্টর, খেসারী ২৯৫০ হেক্টর, মুগ ৬৬৫ হেক্টর চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।  

কৃষকরা জানান, রাতভর বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশা পড়ার কারণে আলুর ক্ষেতে 'লেট ব্লাইট' রোগ দেখা দিয়েছে। এতে ছত্রাক ধরে পাতা ও কাণ্ড পচে গাছ মরে যাচ্ছে। একই কারণে বোরো ধানের বীজতলায় 'কোল্ড ইনজুরি' দেখা দিয়েছে। আলু ক্ষেতে ছত্রাকনাশক ছিটাচ্ছেন চাষিরা। কুয়াশার হাত থেকে ধানের চারা বাঁচাতে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে। অনেক সময় এতেও কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মনিরুল ইসলাম বলেন, বোরো রোপণের জন্য এ বছর জেলায় ৮৯০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কৃষকরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২৫
আরএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।