চট্টগ্রাম: মহান বিজয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, ১৩২ মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।
আজ আমরা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি জানাই, প্রকৃত শহীদ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হোক। কতজন বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তম, এবং বীরপ্রতীক রয়েছেন তা জানাতে হবে। একইসঙ্গে সেক্টর কমান্ডার এবং সাব-সেক্টর কমান্ডারদের সঠিক নাম ইতিহাসে সংরক্ষণ করতে হবে। গত ১৬ বছরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিভিন্নভাবে বিকৃত করা হয়েছে। যারা মুক্তিযুদ্ধের সোল এজেন্সি দাবি করে এসেছে, তাদের আসল অবদান কী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমন অনেকেই আছেন যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন, অথচ আজ নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করেন। এই মিথ্যা দাবির বিরুদ্ধে সত্যিকারের ইতিহাস সামনে আনতে হবে। আমরা নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে চাই। সেক্টর কমান্ডার কারা ছিলেন, কোথায় যুদ্ধ হয়েছে, বীরশ্রেষ্ঠদের আত্মত্যাগ—এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলে তারা আমাদের দিকে আঙুল তুলবে।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করব, যারা প্রকৃত ইতিহাস সংরক্ষণে কাজ করবেন। সেখানে কোনো রাজনৈতিক বিভাজন থাকবে না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে যারাই অবদান রেখেছেন, তাদের নাম সংরক্ষণ করা হবে। আমরা চাই এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে দুর্নীতি, বৈষম্য, নির্যাতন থাকবে না। মানুষের ভোটাধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, এবং মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত হবে। এই চেতনা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব এবং প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সমুন্নত রাখব।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল বারিক, মনিরুল ইসলাম ইউসুফ, ফজল আহমদ, শহীদ আবুল মনসুরের ছোট ভাই ডা. মোহাম্মদ রকিব উল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা কিসিঞ্জার চাকমা, শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৪
এআর/টিসি