চট্টগ্রাম: চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নে ২০২৪ সালের নোবেল পুরস্কার উদযাপনে দৃষ্টি চট্টগ্রামের আয়োজনে নোবেল বিজ্ঞান বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) নগরীর কাজির দেউড়ি জিয়া স্মৃতি জাদুঘর মিলনায়তনে এই বিজ্ঞান বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়।
দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি সাইফ চৌধুরীর সভাপত্বিতে ও সহ-সভাপতি বনকুসুম মজুমদারের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুমিত মজুমদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক ড. মো. মাহবুব হাসান, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের বিজ্ঞানী মো. মুরশেদ হাসান সরকার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন এসপেরিয়া হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান গোলাম বাকী মাসুদ, জে আর মেটাল এর প্রোপাইটার জুয়েল আহমেদ, দৃষ্টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুমিত মজুমদার বলেন, এবার যারা পদার্থ বিদ্যায় নোবেল পেয়েছে তারা পদার্থবিদ্যা ব্যবহার করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআইয়ের ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছেন। এর মাধ্যমে নিউরাল নেটওয়ার্ক তৈরি করেন, যা মানুষের মস্তিষ্কের মতোই তথ্য সংরক্ষণ করে এবং সরবরাহকৃত তথ্যের ভিত্তিতে কোনকিছু পুনরুদ্ধার এবং সিদ্ধান্ত নিতে শেখে। সাম্প্রতি এ প্রযুক্তির ব্যবহার করে ব্ল্যাকহোলের ছবিটা পেয়েছি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক ড. মো. মাহবুব হাসান বলেন, প্রোটিন ডিজাইন ও প্রেটিনের জটিল গঠন ব্যাখ্যার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি মডেল তৈরি করে এবারে রসায়নে নোবেল পেয়েছেন। এ প্রযুক্তি গবেষণায় যুগান্তরকারী পরির্বতন এনেছে। গবেষণা চিন্তার স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আগে কোন প্রাণীর জিন সংগ্রহ করে সেটি অন্য জায়গায় প্রয়োগ করে দেখা হত। গবেষণার সীমাবদ্ধতা ছিল। এখন সেটির দরকার নেই এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কি তৈরি করবো সে অনুযায়ী প্রোটিন ডিজাইন করে নতুন জিন তৈরি করতে পারছি। এ প্রযুক্তির সহায়তায় আগামী ১০ বছরের মধ্যে পরিবেশ বিধ্বংসী পলিথিন ধ্বংসের জৈব প্রভাবক তৈরি সম্ভব।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের বিজ্ঞানী মো. মুরশেদ হাসান সরকার বলেন, দুই মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুনের গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার, জিন নিয়ন্ত্রণের একটি নতুন মাত্রা উন্মোচিত হয়েছে। যেখানে নিউক্লিয়াসে প্রোটিনগুলি আরএনএ ট্রান্সক্রিপশন এবং স্প্লাইসিং নিয়ন্ত্রণ করে, মাইক্রোআরএনএ সাইটোপ্লাজমে এমআরএনএ অনুবাদ এবং পরিপূর্ণতা নিয়ন্ত্রণ করে। এই পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণ জীববিক বিকাশ এবং প্রাপ্তবয়স্ক কোষের ধরনগুলিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জটিল বহু কোষী জীবনের জন্য অপরিহার্য।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২৪
এমআর/টিসি