ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস: ত্রিপুরাজুড়ে বহু বাড়িঘর জ্বলছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৩
নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস: ত্রিপুরাজুড়ে বহু বাড়িঘর জ্বলছে

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যজুড়ে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস চলছে। প্রতিদিনই রাজ্যের নতুন নতুন এলাকা থেকে সন্ত্রাসের খবর আসছে।

ক্ষমতাসীন দল বিজেপি থেকে শুরু করে বিরোধী কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট একে অপরের দিকে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছেন। বিভিন্ন দলের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা, বাড়িঘরে ভাঙচুর এমনকি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে আসছে।
 
বামফ্রন্টের শরিক দল ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা ও নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী পার্থ রঞ্জন সরকার শনিবার (৪ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলন করে আক্রমণের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।  

তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে যাতে রাজ্যের কোথাও কোনো ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা না ঘটে তার জন্য নির্বাচন কমিশনের তরফে একাধিক বৈঠক করা হয়। রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এই বৈঠকগুলো করা হয়। এরপরও ভোটের আগে এবং পরে রাজ্য জুড়ে হিংসাত্মক ঘটনা করেছে ক্ষমতাসীন দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।

তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হয়েছিল গণনার পর এই সন্ত্রাস বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ভোটের ফল প্রকাশের পর সন্ত্রাসের ঘটনা আরও বেড়েছে। এসব আক্রমণের ঘটনা বন্ধের জন্য তিনি ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান রাখেন।

শুধুমাত্র বিরোধী দলগুলোর তরফেই নয়, ক্ষমতাসীন দল বিজেপির তরফেও নির্বাচন উত্তর সন্ত্রাসের অভিযোগ আনা হচ্ছে। তাদের অভিযোগ নির্বাচনের পরাজয় মেনে নিতে পারছে না বিরোধী বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। তাই তারা বেছে বেছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর এবং দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালাচ্ছে। তাদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।

শনিবার বিজেপির ৬ আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ইন্দ্রনগর এলাকায় বিজেপির একটি দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়। দুষ্কৃতীর দল বিজেপির অফিসের আসবাবপত্র এবং অন্যান্য সামগ্রী ভেঙ্গে ফেলে। এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করে দলের স্থানীয় এলাকার নেতাকর্মীরা রাস্তা অবরোধ করেন। তাদের দাবি বিরোধী দলের দুষ্কৃতীরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, পুলিশ এসব দুষ্কৃতীকে দ্রুত আটক করুক। পরবর্তী সময় পুলিশ প্রশাসনের তরফে পাওয়া আশ্বাসের ভিত্তিতে অবরোধ তুলে নেন। এই সংঘর্ষের ঘটনার জেরে রাজ্যজুড়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৩
এসসিএন/এসএ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।