ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘পঞ্চম বাহিনী’র উপদ্রব, সতর্ক থাকতে হবে: রিজভী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২৪
‘পঞ্চম বাহিনী’র উপদ্রব, সতর্ক থাকতে হবে: রিজভী

ঢাকা: দেশকে অস্থিতিশীল করতে ‘পঞ্চম বাহিনী’র উপদ্রব ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে বলে মন্তব্য করে এই পঞ্চম বাহিনী থেকে সতর্ক থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গানের সিডির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রুহল কবির রিজভী বলেন, দেশকে পরাধীন করার চক্রান্ত চলছে। একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশে পঞ্চম বাহিনীর উপদ্রব ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে।

ইসকনকে নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ইসকন হঠাৎ উত্তপ্ত কেন, আগ্রাসী মনোভাব কেন? এরা কারা? এদের তো নতুন করে চিনতে হয়। কেন এই বিদ্বেষ পোষণ করছে তারা নিজেদের মধ্যে, হঠাৎ কেন ১০ জায়গায় সমাবেশ! সমাবেশ শেষ না হতেই ভারতের রিঅ্যাকশন। এই পঞ্চম বাহিনী থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

ভারতে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা বন্ধ করা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ভারতের লোকজন যে হিংসা-বিদ্বেষে ভোগেন, চিকিৎসা বন্ধের হুমকি দেওয়া তারই প্রমাণ।

বিএনপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, ভারতে না গেলে চিকিৎসা পাওয়া যাবে না, এটি ভুল ধারণা। অনেক যোগ্য ডাক্তার বাংলাদেশে রয়েছেন। ভারত না করলে আমরা চিকিৎসা পাব না, বিষয়টি এমন নয়। দেশেও অনেক ভালো চিকিৎসক রয়েছেন। আমরা কারও ওপর নির্ভরশীল না। ভারতের থেকে স্যানিটেশন অনেক উন্নত এখানে। কীসের অহংকার ভারতের!

দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি আগের তুলনায় ভালো দাবি করে রিজভী বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রের পথে হাঁটার সুযোগ নষ্ট করতে অপপ্রচার করছে। নিজস্ব শক্তিতেই বিকাশ লাভ করবে দেশ, কারো আনুগত্যে থাকার জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি। কারো চোখ রাঙানিতে আমরা ভয় পাই না।

তিনি বলেন, তারা হুমকি দিচ্ছে, আমাদের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল অপারেশন করবে। আমরা কি হাত ঘুটিয়ে বসে থাকব?

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, ভারত যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেনি। কিন্তু আমরা যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি।

তিনি আরও বলেন, অন্যায় ও অত্যাচার যখন রাষ্ট্রের ওপর চেপে বসে তখন শিল্প-সংস্কৃতির আন্দোলন বড় দায়িত্ব পালন করে। আন্দোলন যত তীব্র হয়, বিজয় তত এগিয়ে আসে। গণঅভ্যুত্থানে ইথুন বাবুর লেখা ও মৌসুমির গাওয়া ‘দেশটা তোর বাপের নাকি?’ গানটি নতুন মাত্রা যোগ করেছিল।

সমমর্যাদার ভিত্তিতে সাংস্কৃতিক বিনিময় হতে পারে উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, কেউ যদি আমাদের তাদের অনুগত ভাবে, তা মেনে নেব না। শিল্পীরাই ভারতের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন প্রতিরোধ করবে।

ইথুন বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রশিদুজ্জামান মিল্লাত, মীর শরাফত আলী সপু, শাম্মী আক্তার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
টিএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।