ঢাকা, শুক্রবার, ৫ পৌষ ১৪৩১, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকার দেশকে সহিংস রাজনীতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে : ফখরুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
সরকার দেশকে সহিংস রাজনীতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে : ফখরুল জনসমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি আবারও বলছি, এই সরকার সম্পূর্ণ অবৈধ সরকার। এরা বলছে সংবিধানের বাইরে যাবে না।

এরা সংবিধান কাটাছেঁড়া করে জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে।  

তিনি বলেন, সরকার কথায় কথায় সংবিধানের দোহাই দেয়। আজ রাষ্ট্রপতি দেশের বাইরে। সংবিধান অনুযায়ী কাউকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দিতে হয়। আসলে এই সংবিধান এক পরিবারের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে। সংবিধানের কথা বলে দেশকে সহিংস রাজনীতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার।  

বুধবার (১৮ অক্টোবর) সরকার পতনের এক দফা দাবিতে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সমাবেশ শেষে বিএনপি মহাসচিব আগামী ২৮ অক্টোবর রাজনীতিতে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়ে বলেন, এ মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে আমাদের মহাযাত্রা শুরু হবে।

ফখরুল বলেন, এখনো সময় আছে পূজার মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিন, স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়বেন নাকি জনগণের আন্দোলনে বিতাড়িত হবেন। আজ লাখো জনতা এ সমাবেশ থেকে আপনাকে বার্তা দিয়েছে, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) আর নেই।

তিনি বলেন, আজ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আজও দেখলাম প্রথম আলোর ভুয়া পেজ খুলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। তাদের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। লাখো জনতার উপস্থিতি প্রমাণ করে, এই প্রোপাগান্ডা জনগণ বিশ্বাস করে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, যখনই আমাদের সমাবেশ হয় তখনই নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আজকের সমাবেশকে কেন্দ্র ২৫০ জনেরও বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ থেকে প্রমাণ হয়, সরকার ভয় পেয়েছে। এদের পায়ের তলায় কোনো মাটি নেই। ভয় থেকেই সরকার এগুলো করছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মিথ্যা মামলা দিয়ে ৯৬ জন নেতাকে সাজা দিয়েছে সরকার। সরকারের পরিকল্পনা হলো তাদের সাজা দিতে পারলে মাঠ পরিষ্কার। কতটা ভয় পেলে এবং কাপুরুষ হলে তারা তা করতে পারে। এরা ক্ষমতায় থাকলে শুধু রাজনীতি নয়, দেশ রসাতলে যাবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এখনো বলছি, মানে মানে ক্ষমতা ছাড়ুন। আজ মানুষ জেগে উঠেছে। এই জাগ্রত জনতা ফুঁসে ওঠার আগে জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।  

আব্দুল মঈন খান বলেন, আজ বাংলাদেশ থেকে বাকশাল বিদায় করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি। এই আওয়ামী লীগ তিন মিনিটে গণতন্ত্র ধ্বংস করে বাকশাল কায়েম করেছিল। এই আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। এরা জনগণের ইচ্ছাকে পদদলিত করে বার বার ক্ষমতায় এসেছে। এরা গণপ্রতিনিধিত্বহীন সরকার।  

ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
টিএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।