ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

৭ তরুণের উদ্যোগে ‘বইবন্ধু গণপরিবহন পাঠাগার’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
৭ তরুণের উদ্যোগে ‘বইবন্ধু গণপরিবহন পাঠাগার’ .

ঢাকা: নাগরিক ব্যস্ততা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বই পড়ার অভ্যাস হারিয়ে যেতে বসেছে। কিন্তু পথে যানজটে বসে বসে যখন সময় নষ্ট হচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে হাতের কাছে বই পেলে কে না পড়তে চায়! 

যানজটে বসে যে সময়টা নষ্ট হয়, তা বই পড়ার কাজে লাগাতে ৭ তরুণ উদ্যোগ নিয়ে গড়ে তুলেছেন ‘বইবন্ধু গণপরিবহন পাঠাগার’।

তার মানে বাসের মধ্যেই মধ্যেই এই পাঠাগারের অবস্থান আর যানজটে পড়ে গেলে আপনি সেখান থেকে বই নিয়ে দিব্যি সময়টাকে কাজে লাগাতে পারবেন।

ফলে যানজটের বিরক্তি আপনাকে স্পর্শ করতে পারবে না।

‘সোশ্যাল চেইন ফর ডেভেলপমেন্ট’ নামের একটি বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই ‘বইবন্ধু গণপরিবহন পাঠাগার’। সংগঠনটি পরিচালনায় জড়িতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে ঢাকায় চলাচলকারী ট্রান্স সিল্ভা পরিবহনে ৩০টি, শীতল পরিবহনের ৯টি পাঠাগার করা হয়েছে। এছাড়া কলেজ গেটে একটি হাসপাতাল পাঠাগার, কমলাপুরে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য একটি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি সেলুন পাঠাগার তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।

উত্তরাগামী শীতল পরিবহনের আবু আহমেদ সিদ্দিক নামের এক যাত্রী গণপরিবহন পাঠাগার বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি ধানমন্ডি থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন উত্তরা আমার অফিসে যাই। এই রুটে বেশি জ্যাম থাকে, দুই ঘণ্টার কমে যাওয়া বা আসাটা অসম্ভব। তাই আমি মাঝে মাঝে বাসে বসে বই পড়ে সময় কাটাই। বাসের মধ্যে বই পড়ার ব্যবস্থা করার জন্য আমি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে তাদের কাছে আমার দাবি, বইয়ের সংখ্যা আরও বেশি হলে ভালো হত। ’

বইবন্ধু পাঠাগারের প্রধান সমম্বয়ক মহিউদ্দিন তোহা বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা ব্যক্তি পর্যায়ে বই সংগ্রহ করি। অনেকে বই পড়ার পর সেলফে রেখে দেয়, সেই বই আমরা সংগ্রহ করে পাঠাগারে দিয়ে দেই। অনেকে বই কেনার জন্য আমাদের টাকাও দিয়েছেন। এছাড়া বন্ধু-বান্ধব মিলে আমাদের সাধ্যের মধ্যে যা পারি তাই করার চেষ্টা করছি। ’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বইবন্ধু পাঠাগারের পক্ষ থেকে আমরা ভবিষ্যতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পাঠাগার স্থাপন করতে চাই। যেন এখানে আগত বিদেশি পর্যটকরা বাংলাদেশকে বই প্রেমিক দেশ হিসেবে ভাবতে পারে। তবে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক এখনও অনুমতি দেননি। অন্যদিকে আমরা হাতিরঝিল, ধানমন্ডি ৩২, সংসদ ভবন এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় বক্স আকারে পাঠাগার তৈরি করতে চাই। কিন্তু ফান্ডের অভাবে কিছুটা দেরি হচ্ছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
আরকেআর/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।