মৌলভীবাজার: ইউরোপের সুগন্ধি ফুল লিলিয়াম। ফুলটি ইউরোপের ফুলপ্রেমীদের জন্য বহন করে শুভবার্তা।
সম্প্রতি এই ফুলের বিস্তার ঘটেছে বাংলাদেশে।
লালতীর সিড লিমিটেডের সিলেট ডিভিশনাল ম্যানেজার তাপস চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশের ফুলের জগতে লালতীরের নতুন সংযোজন লিলিয়াম ফুল, যা বিদেশ থেকে আমদানি করে আনতে হয়। লালতীর এবং মাল্টিমোড গ্রুপের পরিচালক তাজওয়ার এম আউয়ালের স্বপ্ন দেশের বিভিন্ন জায়গায় লিলিয়াম ফুলের চাষ এবং নতুন বাজার সৃষ্টি করা।
মৌলভীবাজারসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় নার্সারি ও কৃষক পর্যায়ে লিলিয়ামের প্রদর্শনী করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রদর্শনীর ফলাফল বেশ চমকপ্রদ।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ কৃষকরা উন্নতমানের লিলিয়াম ফুলের চাষ করে বাণিজ্যিকভাবে যেন সাবলম্বী হতে পারে এবং সফলতা অর্জন করতে পারে, এই লক্ষ্যে তাজওয়ার এম আউয়াল নেদারল্যান্ডস থেকে এর বীজ এনে পরীক্ষার পর সারা দেশে বিনামূল্যে বিতরণ করেছেন। ফুল আসা ও মাঠ তৈরির পর বিভিন্ন মাঠে তিনি সরজমিনে পরিদর্শন করেন।
লিলিয়াম ফুল বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। নতুন প্রজন্ম বা ফুলপ্রেমীদের জন্য বিষয়টি শুভবার্তা বয়ে আনবে এবং বর্তমান ডিজিটাল স্যাটেলাইট যুগে হারিয়ে যাওয়া ফুলের ঐতিহ্য পুনরায় ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন লালতীর সিড লিমিটেডের সিলেট ডিভিশনাল ম্যানেজার তাপস চক্রবর্তী।
লিলিয়াম সাধারণত শীত প্রধান দেশগুলোতে সাদা, হলুদ, কমলা, গোলাপি, লাল ও বেগুনি বর্ণ নিয়ে ফুটতে দেখা যায়।
ফুলের বর্ণচ্ছটা আকর্ষনীয়। এর গায়ে সুন্দর অঙ্কন দেখলে মনে হবে কোনো শিল্পী তার ফুলের গায়ে নানা রং দিয়ে চিত্র এঁকে রেখেছেন। পাশাপাশি এর মিষ্টি গন্ধ ফুলপ্রেমীদের আকৃষ্ট করে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মশিউর রহমান বলেন, লিলিয়াম ফুলের মাঠ দেখে আমরা আনন্দিত। লিলিয়াম ফুলের রেজাল্ট খুবই চমৎকার ও সুন্দর। এগুলো বাজারে এলে ফুল ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে পারবে।
মাল্টিমুড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাজওয়ার আউয়াল বলেন, আমরা চেষ্টা করছি বিদেশিদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৃষকদের সবজিসহ নানা কৃষিপণ্য উৎপাদন এগিয়ে নিতে। এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সম্প্রতি লেদারল্যান্ডস থেকে লিলিয়াম ফুলের বাল্ব (কন্দ) এনে চাষিদের দেওয়া হয়েছে। অল্প দিনের মধ্যে ভালো উৎপাদন হওয়ায় বিদেশি জাতের লিলিয়াম ফুলের সম্ভাবনা দেখা গেছে। এর চাষ দেশব্যাপী বিস্তার করতে পারলে একদিকে যেমন এই ফুলের আমদানি করতে হবে না বরং মধ্যপ্রাচ্যে তা রপ্তানি করে আমরা বৈদেশক মুদ্রা অর্জন করতে পারব।
এ ছাড়াও বাগেরহাট, খুলনা, যশোর, সিলেট ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় এই ফুলের পরীক্ষণ প্লট করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪
বিবিবি/এমজেএফ