ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নারীর নিরাপদ যাতায়াতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চান প্রতিমন্ত্রী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২০
নারীর নিরাপদ যাতায়াতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চান প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: গণপরিবহনে নারীর নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে প্রতিটি রুটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা দরকার বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা।

তিনি বলেছেন, গণপরিবহনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ফোন নম্বর ও যোগাযোগের ঠিকানা দেওয়া থাকবে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে সব গণপরিবহনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বাস থেকে নেমে ধর্ষণ হওয়ার ঘটনার আলোচনার মধ্যে বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণপরিবহনে নারীর নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে ৯২ শতাংশ মানুষ গণপরিবহেন চলাচল করে। একজন নারী যখন বাইরে বের হয়ে পরিবহনে নির্যাতনের শিকার হয়, তখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। কারণ, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত।

‘আমাদের যেটা করণীয় দরকার, প্রতিটি রুটে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু করা। রুট অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতের ফোন নম্বর, যোগাযোগ, ঠিকানা গণপরিবহনে প্রকাশ্য স্থানে লিখে রাখলে ভুক্তভোগীরা দ্রুত আইনের সহায়তা নিতে পারবে। ’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত বিকৃত মস্তিষ্ক ও বিকৃত মানসিকতার অধিকারীরাই নারী নির্যাতনকারী ও ধর্ষণকারী। তাদের বিরুদ্ধে নারী সমাজকে প্রতিবাদী হতে হবে। নারী নির্যাতন ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে দেশে আইন রয়েছে। আইনের কার্যকরী প্রয়োগের পাশাপাশি সন্তানদের পরিবার থেকে নীতি-নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে হবে।

ফজিলাতুন নেছা বলেন, আমি আমার মা-বোনদের উদ্দেশে একটা কথা বলছি। পুরুষ যদি নারীদের নির্যাতন করতে পারে, অপমান করতে পারে; আমরা কেন নীরবে সহ্য করবো? আমরা তো নীরবে সহ্য করতে পারবো না।

‘যে দেশের মায়েরা বিধবা হবে জেনেও তাদের স্বামীদের পাঠিয়েছেন একাত্তর সনে, পুত্রদেরও পাঠিয়েছেন যুদ্ধক্ষেত্রে, কন্যারা ধর্ষিত হবে জেনেও অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছে, সে দেশের কন্যাদের আর নির্যাতিত হতে দেওয়া হবে না। ’

‘আপনারা মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবেন, যাতে ওই নির্যাতনকারীরা কোনোদিনও আপনাদের স্পর্শ করতে না পারে। এ ব্যাপারে আমাদের সরকার থেকে যত সহযোগিতা দরকার আপনাদের করবে। ’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিজ্ঞা করি, আগামীকাল বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কাউন্টডাউন শুরু হবে, জন্মশতবার্ষিকীতে আর কোনো নারী যেনো নির্যাতিত না হয়।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও দিপ্ত ফাউন্ডেশনের যৌথভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. মহসিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন কর্মসূচি পরিচালক মো. ইয়ামিন খান।

সরকারের অর্থায়নে এ সংশ্লিষ্ট কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে বেসরকারি সংস্থা দিপ্ত ফাউন্ডেশন। দিপ্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া হাসান তার উপস্থাপনায় বলেন, এ বছর ৫০টি ও পরবর্তীকালে ১৫০টি গণপরিবহনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে কেন্দ্রীয় সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত করে মনিটর করা হবে। একইসঙ্গে অ্যাপসের সঙ্গেও যুক্ত থাকবে। কর্মসূচিটি চারটি এলাকায় বাস্তবায়িত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
এমআইএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।