ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

৪৮ লাখ টাকার ভারতীয় কসমেটিকস জব্দ, গ্রেপ্তার ১

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৫
৪৮ লাখ টাকার ভারতীয় কসমেটিকস জব্দ, গ্রেপ্তার ১

ঢাকা: শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে আনা ৪৮ লাখ টাকা মূল্যের স্কিনকেয়ার ও কসমেটিকস পণ্য জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পাশাপাশি এই চোরাচালান চক্রের এক সক্রিয় সদস্যকেও গ্রেপ্তার করেছে ডিবির তেজগাঁও বিভাগ।

গ্রেপ্তারকৃতের নাম- ফিরোজ আলম বাবু (৩৭)।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রী এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ২৫ হাজার ৪৪ পিস বিভিন্ন ভারতীয় স্কিনকেয়ার সামগ্রী জব্দ করা হয়। জব্দ করা হয় চোরাচালান কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যানও।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মিজানুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারতীয় অবৈধ স্কিনকেয়ার কসমেটিকস সামগ্রী এনে একটি বাসায় মজুদ করছিল এবং পরবর্তীতে সেসব সামগ্রী স্থানীয় বাজারে বাজারজাত করে আসছিল। এসব তথ্যের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরেই চক্রটি ডিবি টিমের নজরদারিতে ছিল।

তিনি আরো বলেন, রোববার সন্ধ্যায় ওই বাসায় অভিযান পরিচালনা করে চোরাচালান চক্রের অন্যতম সদস্য ফিরোজ আলম বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানকালে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাইপথে আনা মোট ২৫ হাজার ৪৪ পিস বিভিন্ন স্কিনকেয়ার সামগ্রী জব্দ করা হয় ও চোরাচালান পণ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়। জব্দকৃত অবৈধ কসমেটিকস সামগ্রীর স্থানীয় বাজার মূল্য প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা।

এই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ফিরোজসহ চোরাচালানের সাথে জড়িত অন্যান্যদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিসি মিজানুর রহমান আরো বলেন, জব্দকৃত কসমেটিকস পণ্যগুলো দেশের স্থানীয় বাজারে ও অনলাইনে বিক্রি করা হতো। চোরাই পথে আসায় এই পণ্যগুলোর গুণগত মান যাচাইয়ের সুযোগ ছিল না। ফলে গ্রাহকদের ক্ষতির আশংকা ছিল।
 
বিভিন্ন সময় চোরাইমাল আটক হয় কিন্তু এর সঙ্গে জড়িত মূলহোতারা আড়ালে থাকছে। হোতাদের গ্রেপ্তারের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ফিরোজ আমাদের জানিয়েছেন, একটি চক্রের মাধ্যমে স্থলবন্দর এড়িয়ে সিমান্ত দিয়ে এসব কসমেটিকস পণ্য দেশে আসে। পরে সেটি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে যায়। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় কিছু লোক জড়িত আছে। এই চক্রের প্রতিটি ধাপে ধাপে লোক আছে। এই চোরাচালানে একটি চেইন মেনে করা হয়। আমাদের যে মামলা দিয়েছি সেটার তদন্তে বাকিদের নাম বেরিয়ে আসবে এবং এর মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করা হবে।

সীমান্তে কোনো দুর্বলতা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সিমান্তে বিজিবি আছে। তারা সীমান্ত সুরক্ষায় কাজ করছে। আপনারা জানেন দেশের তিন দিক দিয়ে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত। এই বিশাল সীমান্তটি বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুরক্ষা দিচ্ছে। তবে যারা অপরাধী তাদের ভিন্ন ভিন্ন কৌশল থাকে এবং তারা সময়ের সঙ্গে সেই কৌশল পরিবর্তন করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৫
এসসি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।