কুমিল্লা: কুমিল্লার তিতাসে মো. আবু হানিফ নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
মো. আবু হানিফ উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আবু হানিফ মেম্বার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মজিদপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ওই সময়ে আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল থেকে প্রকাশ্যে আসে আবু হানিফ জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার কথা।
জানা যায়, শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ওই ওয়ার্ডের জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনের জন্য ছাপানো পোস্টারে আবু হানিফের নাম এবং জামায়াতের পদবি লেখা রয়েছে। পরে বিষয়টি স্বীকার করেন আবু হানিফ।
এর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবদুল মতিন বলেন, আবু হানিফ মেম্বার হওয়ার ১০ বছর আগে থেকেই জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর জোর করে তাকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বানানো হয়েছে। জামায়াতের রাজনীতিতে কোনো আওয়ামী লীগ অনুপ্রবেশ করেনি।
আ.লীগ নেতা থেকে জামায়াতের ওয়ার্ড সভাপতি হওয়ার বিষয় ইউপি সদস্য আবু হানিফ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাহাবৃদ্ধি সাকুরা কিন্ডারগার্টেনে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের সভায় আগের ওয়ার্ড সেক্রেটারি উপস্থিত না থাকায় আমার নাম ঘোষণা করা হয়। আমি মানা করেছিলাম। কিন্তু আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোর করে আমাকে সাধারণ সম্পাদক করে দলটির নেতারা। পরে নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়ন কাজের জন্য আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়েছি। দলটির সাংগঠনিক নেতারা পলাতক থাকায় পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারিনি। তবে সেটা শিগগিরই দেব। এখন আমি জামায়াতে ইসলামী ওয়ার্ড সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
এসএএইচ