ঢাকা, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

শোভাযাত্রার নাম নিয়ে চারুকলার শিক্ষার্থীদের যে ব্যাখ্যা দিলেন ফারুকী

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:২০, এপ্রিল ১৪, ২০২৫
শোভাযাত্রার নাম নিয়ে চারুকলার শিক্ষার্থীদের যে ব্যাখ্যা দিলেন ফারুকী বর্ষবরণ শোভাযাত্রা। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: ১৯৮৯ সালে চারুকলায় ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা শুরু হয়েছিল। পরে ১৯৯৬ সালে এটিকে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম দেওয়া হয়।

এবার কর্তৃপক্ষ এটিকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নাম দিয়েছে। এটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চারুকলার একদল শিক্ষার্থী।  

নাম বদলের বিষয়টি চাপিয়ে দেওয়ার মতো হলো কি না - জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, “চাপিয়ে দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি, আগে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নাম ছিল ‘বর্ষবরণ শোভাযাত্রা’ যশোরে। সেখান থেকে ঢাকায় আসার পর নাম হয় ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। এরপর চাপানো হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। এবার চারুকলা সিদ্ধান্ত নিয়েছে চারুকলায় যে নামে চালু হয়েছিল সে নামে শুরু হবে। ”

সোমবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’য় অংশ নেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এসময় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, এবার শোভাযাত্রা রাজনৈতিক নয়। আমরা এবার শুধুমাত্র ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব ব্যবহার করেছি। কারণ ফ্যাসিস্ট কোনো রাজনীতির অংশ নয়। ফ্যাসিস্ট সবচেয়ে বড় অশুভ শক্তি। যদিও ঐতিহাসিকভাবে এটিকে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক গ্রুপ তাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য এটিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছে।  

তিনি বলেন, রাজনৈতিক না হলেও এবারের শোভাযাত্রায় বাংলাদেশের রাজনীতি রয়েছে। এখানে বাংলাদেশের সকল জনগোষ্ঠী, সকল ঐতিহ্য - সেই আকবর আমলের ঐতিহ্য, সুলতানি আমলের ঐতিহ্য সবকিছুর মিশ্রণ দেখা গেছে। তবে টিপিক্যাল রাজনীতির কিছু এখানে নাই।

ছবি: ডিএইচ বাদল

ছবি: ডিএইচ বাদল

সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, এটা আসলে বাঙালির প্রাণের উৎসব আর নয়, এটাকে আমরা অনেকদিন বাঙালির প্রাণের উৎসব বানিয়ে রেখেছি। এটা বাংলাদেশের প্রাণের উৎসব। এটা বাঙালি, চাকমা মারমা গারোসহ সকল জাতিগোষ্ঠী বর্ষবরণ পালন করে। ফলে আমরা এটাকে আমরা বাংলাদেশের উৎসব হিসেবে পালন করা শুরু করলাম।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি এটা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐক্য এবং সম্মিলনের একটি বড় ধাপ। আমরা হয়ত ২০-৩০ বছর পর থাকবো না, কিন্তু আজকের বছরটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে কারণ এরপর থেকে বাংলাদেশ এভাবেই চলবে।

আরও পড়ুন>> 

পানির বোতলের মোটিফে শোভাযাত্রায় মুগ্ধকে স্মরণ

তরমুজের মোটিফ দিয়ে শোভাযাত্রায় ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি

বর্ণিল শোভাযাত্রায় রঙিন নগরী

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা,এপ্রিল ১৪, ২০২৫
এফএইচ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।