গাইবান্ধা: গাইবান্ধা পৌর শহরের গোবিন্দপুর এলাকার জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা দীর্ঘদিন পর দখল মুক্ত করলো পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) ওই এলাকার চলাচলের রাস্তাটি পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। এর আগে গত রোববার ওই রাস্তাটি অবৈধভাবে দখল করে নির্মাণ করা প্রাচীর ভেঙে ফেলা হয়।
জানা গেছে, গাইবান্ধা পৌর শহরের গৌবিন্দপুর মৌজার বর্তমান ৬৬৩৬ খতিয়ানের দাগ নম্বর ১২০৮১ এর প্রায় ৬ শতাংশ খাস জমির ওপর নির্মিত ২৭৭ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্ত রাস্তাটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল। এরপর গত ১৭ সালের জুনে রাস্তাটি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করেন স্থানীয় বাসিন্দা খাদেমুল ইসলাম। পরে প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল হামিদ ও স্থানীয়রা মিলে রাস্তাটি উদ্ধারে সদর উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রওনক জাহান উপস্থিত থেকে জমিটি দখল মুক্ত করে জনগণের চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মাণ করে দেন। যা গাইবান্ধা পৌরসভার নকশায় রাস্তাটি অর্ন্তভুক্ত রয়েছে। এরপর ওই সালের আগস্টে আবারও রাস্তাটি দখল করে স্থায়ী প্রাচীর নির্মাণ করেন স্থানীয় বাসিন্দা খাদেমুল ইসলামের স্ত্রী জমিলা খাতুন ও ছেলে জামিল আহম্মেদ সুমন। এরপর থেকে দীর্ঘসময় ধরে রাস্তাটি দিয়ে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর পৌরসভার আইন মোতাবেক চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি রোববার অনুমতি না নিয়েই অবৈধভাবে নির্মাণ করা প্রাচীর ভেঙে দেন পৌর কর্তৃপক্ষ। রাস্তাটির কাজ চলমান রয়েছে। এতে ওই এলাকার জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।
ভুক্তভোগী প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল হামিদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা ওই জমিতে প্রবেশ করতে পারি নাই। রাস্তাটি দখলমুক্ত হওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হানিফ সরদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে ভোগদখল করে আসছিলো স্থানীয় বাসিন্দা খাদেমুল ইসলামের স্ত্রী জমিলা খাতুন ও ছেলে জামিল আহম্মেদ সুমন। পরে পৌর কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হলে পৌর প্রশাসকের নির্দেশে রাস্তাটি দখল মুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২৫
আরএ