ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

এবারও চায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১০৪ মিলিয়ন কেজি: বিটিবি চেয়ারম্যান

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
এবারও চায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১০৪ মিলিয়ন কেজি: বিটিবি চেয়ারম্যান বক্তব্য দিচ্ছেন বিটিবি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সরওয়ার

মৌলভীবাজার: বাংলাদেশ চা বোর্ডের (বিটিবি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন বলেছেন, গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০৪ মিলিয়ন কেজি। এবার আমরা কাছাকাছি থাকবো।

তবে চা রপ্তানি দিক থেকে গতবারের চেয়ে লক্ষ্যমাত্রা এবার বেশি আছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্র (বিটিআরআই) আয়োজিত প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের হল রুমে ‘সেমিনার অন দ্য ইউজ অব বিটিআরআই অপ্টিমাইজড টেকনোলজিস ফর দ্য স্টেকহোল্ডারস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান সময়ে অকশনের প্রাইস বাজারের দামের চেয়ে কম আছে। এটা নিয়ে আমরা অকশন ব্রোকারদের সঙ্গে মিটিংয়ের ব্যবস্থা করেছি এবং যারা প্রধান স্টেকহোল্ডার আছেন, লাইক পার্সেস করছেন ইস্পাহানি, আবুল খায়ের গ্রুপ তাদের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। পরে অকশনের দামটা আরেকটু বাড়ানো যায় কিনা। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা চিন্তা করছি সব মিলিয়ে চায়ের বিক্রি দামটা আরও ভালো পর্যায়ে আনা যায় কিনা।

চা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শেফালী বোনার্জীর পরিচালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের নব নিযুক্ত সদস্য ও যুগ্ম সচিব ড. পীযুষ দত্ত।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন- ফিনলে টি কোম্পানির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিইও) তাহসিন আহমেদ চৌধুরী, প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক।

চা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, আমি গত অক্টোবরের ২৩ তারিখ চা বোর্ডের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে অনেক বাগানের মালিক ও ব্যবস্থাপকের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের নিজস্ব গার্ডেনগুলো ঘুরে দেখেছি। তারা বাগানে লোকসানের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এভাবে বাগান চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না বলে জানান। কিন্তু একেকটা বাগানে হাজার হাজার শ্রমিক কর্মচারী রয়েছেন। এ সেক্টরটা যদি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে এবং এভাবে চা বাগানগুলো লস দিতে থাকে, তাহলে আমার মনে হয় না কারও চা বাগানের প্রতি আগ্রহ থাকবে না। আমি নিজেই কোনো  চা বাগান মালিক হলেও এভাবে লস দিয়ে বাগান চালিয়ে যেতাম না।

তিনি আরও বলেন, যদিও আমাদের চা সেক্টর একটা ক্রিটিক্যাল টাইম পার করছে। এ সেক্টরে যারা জড়িত তাদের বলবো উন্নতি করতে হলে আরও মনোযোগী হতে হবে। বাগানের ম্যানেজার ঠিক থাকলে কোনোভাবেই চা বাগানে লস গুনতে হবে না। ম্যানেজার ঠিক না থাকলে কোনোভাবেই বাগান লাভবান হবে না। চা বাগান লসের ডিসক্রেডিট দিতে হলে চা বোর্ডকেও দিতে হবে। কারণ চা বোর্ড চা বাগানের সঙ্গে উৎপোতভাবে জড়িত।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪
বিবিবি/আরবি   

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।