ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শিবচরে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
শিবচরে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক স্মৃতি ও ঋণয়

মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার শিবচরে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্মৃতি মণ্ডল (৩৭) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর পালিয়েছে অভিযুক্ত স্বামী ঋণয় গিরি (৪০)।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে জেলা সদর হাসপাতালে।  

নিহত স্মৃতি মণ্ডল শিবচরের উমেদপুর ইউনিয়নের চর কমলাপুর গ্রামের বৃন্দাবন মণ্ডলের মেয়ে। অভিযুক্ত ঋণয় গিরি একই উপজেলার সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের জিতেন গিরির ছেলে। নিহত স্মৃতির ১৫ বছরের এক মেয়ে ও ১০ বছরের এক ছেলে রয়েছে।

জানা গেছে, ২০ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে মাদারীপুর জেলার শিবচরের উমেদপুর ইউনিয়নের চর কমলাপুর গ্রামের বৃন্দাবন মণ্ডলের মেয়ে স্মৃতি মণ্ডলের বিয়ে হয় একই উপজেলার সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের জিতেন গিরির ছেলে ঋণয় গিরির সঙ্গে। বিয়ের পর খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে স্মৃতিকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে ঋণয়ের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার সালিশ হলেও কোনো সমাধান করতে পারেননি মুরব্বিরা।

এরপর ৪ বছর ধরে এক ইতালী প্রবাসীর স্ত্রী দিপুমনির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ঋণয়। বিষয়টিতে প্রতিবাদ করলে স্মৃতির ওপর শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। ঋণয়ের পরিবারের কাছে বিচার দিলে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে সে। এরই জেরে রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে স্মৃতিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ ঘরের ভেতর ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ঋণয়। খবর পেয়ে সোমবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নিহত স্মৃতির বড়বোন ইতি মণ্ডল বলেন, 'আমার বোনকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। ঋণয় অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এর প্রতিবাদ করায় আমার বোনকে হত্যা করেছে, আমরা এর বিচার চাই। '

স্মৃতির স্বজনেরা জানান, 'পরকীয়ায় বাধা দেওয়ার কারণেই হত্যা করা হয়েছে স্মৃতিকে। এর আগেও একাধিকবার স্মৃতিকে মারধর করেছে ঋণয়। বিষয়টি নিয়ে ঋণয়ের পরিবারের কাছে বিচার দিলেও কোনো সুরহা হয়নি। আগে থেকে ঋণয়কে সাবধান করা হলে সে এমন হত্যাকাণ্ডের সাহস পেত না। আমরা ঋণয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। '

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ভাস্কর সাহা বলেন, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারপরও নিহতের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।