নোয়াখালী: ত্রিপুরার ভগ্নাংশ কুমিল্লার সঙ্গে নয়, নোয়াখালী নামেই বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে আবারও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন নোয়াখালীবাসী।
বৃহত্তর নোয়াখালীর এক কোটি মানুষের প্রাণের দাবি নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়নে সম্মিলিত নোয়াখালীবাসী।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
পরে ‘কুমিল্লা নয়, নোয়াখালী বিভাগ চাই’, ‘কুমিল্লার সঙ্গে বিভাগ দিলে বাঁধবে লড়াই রাজপথে’ বিভিন্ন স্লোগানে জেলা শহর মাইজদীর প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে নোয়াখালীর সর্বস্তরের জনগণ।
এ সময় নোয়াখালীর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, নোয়াখালী সরকারি কলেজ, চৌমুহনী সরকারি সালেহ আহমেদ কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা নোয়াখালীকে প্রশাসনিক বিভাগের দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিলে অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে পরিপূর্ণ ২০০ বছরের পুরোনো জেলা আমাদের নোয়াখালী। ঐতিহ্যবাহী এই জেলাটি বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির শতকরা ৩৫ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও ৭ লক্ষাধিক প্রবাসী অধ্যুষিত এই জেলার প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। সবদিক বিবেচনায় জাতির শ্রেষ্ঠসন্তান বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনসহ জ্ঞানী-গুণীর জেলা নোয়াখালীই ৯ম প্রশাসনিক বিভাগের যোগ্য দাবিদার। তাই প্রধান উপদেষ্টার কাছে ঢাকা থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরত্বের কুমিল্লায় নয়, ১৬০ কিলোমিটার দূরত্বের স্বয়ং সম্পূর্ণ জেলা নোয়াখালীকেই বিভাগ হিসেবে ঘোষণা ও বাস্তবায়ন চান বৃহত্তর নোয়াখালীর ১ কোটি মানুষ।
বক্তারা আরও বলেন, নোয়াখালীর গণমানুষের অনুমতি ছাড়া কিংবা গণশুনানী ছাড়া যদি কুমিল্লার সঙ্গে নোয়াখালীকে সংযুক্ত করে বিভাগ ঘোষণা করা হয় তাহলে নোয়াখালীবাসী কখনোই তা মেনে নেবে না। প্রয়োজনে আমরা চট্টগ্রামের সঙ্গেই থাকব তবুও কুমিল্লার সঙ্গে বিভাগে যাব না। আর বিভাগ বিষয়ে যদি নোয়াখালীকে নিয়ে কোনো চক্রান্ত করা হয় তাহলে নোয়াখালীর তরুণ প্রজন্ম প্রয়োজনে আদালতের শরণাপন্ন হবে।
তবুও নোয়াখালীকে বিভাগের ঘোষণা না নিয়ে ঘরে ফিরবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
এসএএইচ