ঢাকা, বুধবার, ৩ পৌষ ১৪৩১, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সাদপন্থিদের ইজতেমা নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
সাদপন্থিদের ইজতেমা নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

ঢাকা: টঙ্গীতে তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন নিহতের ঘটনায় সাদপন্থিদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বিবদমান গ্রুপগুলো আলোচনার মাধ্যমে সেই সিদ্ধান্ত নিক।   

এ সময় ইজতেমা মাঠ এলাকায় সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনায় জড়িতরা ছাড় পাবে না বলেও জানান তিনি।

 

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জুবায়েরপন্থিদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সাদপন্থিরা ইজতেমা করতে পারবে কি না সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাদের (তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের) ভেতরে কিন্তু একটা আলোচনা চলছে। তারা যদি আলোচনা করে একটা সমাধানে আসতে পারেন।  

সরকারের অবস্থান কী জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ভাইয়েরা আলোচনা করছেন, আলোচনার পর আমরা একটা সিদ্ধান্তে আসব।  

ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে অবশ্যই আইনের অধ্যায় আনতে হবে। এদের তো ছাড় দেওয়ার কোনো অবকাশ নেই। খুনিদের তো কোনো অবস্থায়ই ছাড় দেওয়ার কোনো অবকাশ নাই।  

তিনি বলেন, তারা (জুবায়েরপন্থি) আজকের ভেতরেই মামলা করবে। মামলার সাথে সাথে যারা প্রকৃত দোষী তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব।  

এর আগে সচিবালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন মাওলানা মামুনুল হকসহ জুবায়েরপন্থি কয়েকজন আলেম।

বৈঠকে ভূমি উপদেষ্টা, তথ্য উপদেষ্টাসহ সাত উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সাদপন্থিদের ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধ এবং তাদেরকে ইজতেমা করার অনুমতি না দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জুবায়েরপন্থিরা।

বৈঠক শেষে মামুনুল হক বলেন, সাদপন্থিরা ঘুমন্ত মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে চারজনকে শহীদ করেছে, অসংখ্য মানুষকে আহত করেছে। এটা কোনো সংঘর্ষ ছিল না, এটা ছিল একপক্ষীয় হামলা। এই হামলায় কারা কারা জড়িত, আমাদের সর্বপ্রথম দাবি এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে হবে। আজকের মধ্যেই যেন সেই গ্রেপ্তারের ঘটনা আমরা দেখতে পাই।

তিনি বলেন, আমাদের জোরালো একটা দাবি -  এই সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে সাদপন্থিরা যে বার্তা বাংলাদেশকে দিয়েছে সেটা হলো, আজকে যারা বাংলাদেশবিরোধী শক্তি আমাদের কাছে এটাই স্পষ্ট, তারা (সাদপন্থিরা) সেই শক্তির দোসর হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। কাজেই আমাদের স্পষ্ট দাবি, এই সাদপন্থিদেরকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যায়িত করে তাদেরকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছি। আশা করি, সে বিষয়ে যত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা সরকার‌ গ্রহণ করবে। সাদপন্থিদেরকে আমরা বিশুদ্ধের দাবি জানিয়েছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মামুনুল হক বলেন, সাদপন্থিদের ইজতেমা হওয়ার এখন আর কোনো অবকাশ নাই। গতকালের ঘটনার পরে তাদের এখানে ইজতেমা তো দূরের কথা বরং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমি আশা করছি।   

অপর আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করব, আমরা আশা করছি সরকার এই ধরনের ভুল করবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
এসকে/এসএএইচ  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।