ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ পৌষ ১৪৩১, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিজয় দিবসে আগরতলা-আখাউড়া সীমান্তে শুভেচ্ছা বিনিময়

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪
বিজয় দিবসে আগরতলা-আখাউড়া সীমান্তে শুভেচ্ছা বিনিময়

ঢাকা: বিজয় দিবস উপলক্ষে বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতির প্রতিফলন হিসেবে বাংলাদেশি ও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী একসঙ্গে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ৫৩তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন করেছে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১০১ এরিয়া চিফ অফ স্টাফ মেজর জেনারেল সুমিত রানা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিকের নেতৃত্বে উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ত্রিপুরার আগরতলা-আখাউড়া সীমান্তে শুভেচ্ছা ও মিষ্টি বিনিময় করেন।

এই অনুষ্ঠান চলাকালে প্রদর্শিত উষ্ণতা ও মৈত্রী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ঐতিহাসিক অংশীদারত্ব ও গৌরবময় আত্মত্যাগের মর্মস্পর্শী স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেয়, যেখানে বাংলাদেশের সাহসী নারী-পুরুষরা তাঁদের জাতীয় মুক্তির জন্য যে সংগ্রাম চালিয়েছিলেন, যার চূড়ান্ত পরিণতি ঘটেছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে।

এই অনুষ্ঠানটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরা ও আগরতলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও তুলে ধরে।

এই অনুষ্ঠান চলাকালে, উভয় পক্ষই ভারত ও বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে ও তাদের জনগণের মধ্যে রক্তের বন্ধনে গড়ে ওঠা গভীর বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে এবং তা পুনর্ব্যক্ত করে, যা ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা ও সমতার চেতনার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।

আগরতলায় আজকের দিনের আয়োজনে অ্যালবার্ট এক্কা ওয়্যার মেমোরিয়ালে ত্রিপুরার রাজ্যপালের উপস্থিতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও একটি সাইকেল র‍্যালির সূচনাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। একই দিনে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় প্রাক্তন সেনাসদস্য ও বীর নারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘন্টা,  ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪
টিআর/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।