ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফুটপাতে জমতে শুরু করেছে শীতবস্ত্র বিক্রি

সুব্রত চন্দ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৪
ফুটপাতে জমতে শুরু করেছে শীতবস্ত্র বিক্রি

ঢাকা: দেশের উত্তরাঞ্চলে হিমেল হওয়া জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। রাজধানীতেও সন্ধ্যার পর কমতে থাকে তাপমাত্রা।

মধ্য রাত থেকে গরম কাপড় ছাড়া বাইরে চলাচল করা কঠিন। বাসার ভেতরেও গায়ে চড়াতে হয় কাঁথা-কম্বল। তাইতো ঢাকার ফুটপাতগুলোতে জমতে শুরু করেছে শীতবস্ত্র বিক্রি। ক্রেতারাও আগাম গরম পোশাক কিনে নিচ্ছেন শীতের প্রস্তুতি।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর গুলিস্তান, ফার্মগেট, নিউমার্কেট, মোহাম্মদপুর ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিক্রেতারা ভ্রাম্যমাণ দোকান দিয়ে হুডি, মোটা গেঞ্জি, জ্যাকেট, সুয়েটার, মেয়েদের কার্ডিগান, শর্ট কোর্ট, বেলবেড জ্যাকেট, চাদর, কম্বল, কম্পোর্টার, ডেনিম শার্ট, বাচ্চাদের শীতের জামা, কানটুপি, মোজাসহ বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ফুটপাতে। বুধবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এসব শীতের পোশাক কেনাবেচা। নিম্ন ও মধ্যবিত্তরাও সেসব দোকানে ভিড় করছেন শীতের পোশাক কিনতে।

বিক্রেতারা জানান, রাজধানীতে এখনো শীত পড়তে শুরু করেনি। তবে এরই মধ্যে শীতের পোশাক বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। কেউ এক মাস আগে তো কেউ এক সপ্তাহ আগে শীতবস্ত্র বিক্রি শুরু করেছেন। সপ্তাহখানেক পরে শীতের অনুভূতি বাড়লে বিক্রি পুরোপুরি জমে উঠবে। তবে তখন দামও কিছুটা বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট এলাকায় ফুটপাতে বাচ্চাদের শীতের পোশাক বিক্রি করেন ফয়েজ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এক সপ্তাহ আগে শীতের পোশাক তুলেছি। এর আগে ছেলেদের টি-শার্ট বিক্রি করতাম। শীতের পোশাক টুকটাক বেচা শুরু হলেও পুরোপুরি জমেনি। ঢাকায় এখনো শীত পড়েনি। শীত পড়লে তখন বিক্রি বাড়বে।

ফুটপাতের বিভিন্ন দোকানের শীতবস্ত্রের দাম যাচাই করে দেখা যায়, হুডি ২৫০-৫০০ টাকা, মোটা গেঞ্জি ১৫০-২৫০ টাকা, মেয়েদের কার্ডিগান ৩০০-১৫০০ টাকা, সুয়েটার ২০০-৩০০ টাকা, মোটা জ্যাকেট ৫০০-৭০০ টাকা, চাদর ২৫০-৫০০ টাকা, ডেনিম শার্ট ২০০-৩০০ টাকা, কম্বল ২০০-৫০০ টাকা, কম্পোর্টার ৩০০-৬০০ টাকা, কানটুপি ৬০-২০০ টাকা, মাঙ্কি টুপি ৬০ টাকা, জ্যাকেট ৫০০-৬০০ টাকা, শর্ট কোর্ট ৪০০-৭০০ টাকা, ছোটদের শীতের পোশাক ১০০-৩০০ টাকা, মোজা ২০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দাম গত বছরের মতোই আছে বলে দাবি বিক্রেতাদের। মো. গোলাম রাব্বি নামে এক বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত শীতের পোশাকের দাম গত বছরের মতোই আছে। কারণ অনেকে গত বছর যেসব পোশাক বিক্রি হয়নি, সেগুলো এখন বিক্রি করছে। তাই দাম গত বছরের মতোই আছে। তবে শীত বাড়লে যখন বিক্রি বাড়বে, তখন নতুন পোশাক আসবে, দামও বাড়বে।

ফার্মগেটে ফুটপাতে মোটা গেঞ্জি ও হুডি বিক্রি করছেন শামীম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এক সপ্তাহ আগে থেকেই শীতের পোশাক বিক্রি শুরু হয়েছে। আস্তে আস্তে সেটা আরও বাড়বে। এখন প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা বিক্রি করি। শীত বাড়লে তখন প্রতিদিন ছয় হাজার থেকে আট হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করি।

তবে ফার্মগেটে আরেক বিক্রেতা মো. তাসকুর ইসলামের দাবি, মাসের শেষ দিক হওয়ায় এখন বিক্রি কিছুটা কম। মাসের শুরুতে শীতের পোশাক বিক্রি দ্বিগুণ হবে।

এদিকে আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৪
এসসি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।