ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অবাধে গরু-ছাগল চলে সৈয়দপুরের সড়কে, দুর্ঘটনার শঙ্কা সমূহ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৪
অবাধে গরু-ছাগল চলে সৈয়দপুরের সড়কে, দুর্ঘটনার শঙ্কা সমূহ

নীলফামারী: উত্তরের গেটওয়ে বলে পরিচিত নীলফামারীর শহর সৈয়দপুর। রংপুর ও দিনাজপুর জেলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত শহরটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ।

সড়ক, রেল ও বিমানের যোগাযোগ থাকায় শহরে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জেলা-শহরের লোকজনের আগমন হয়। সৈয়দপুরের রাস্তাঘাট উল্লেখযোগ্য উন্নত নয়, তবে ব্যবহৃত হয় প্রচুর। মানুষের চলাচলের সময় ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু লোকে চরম বিড়ম্বনায় পড়ে তখন, যখন শহরের রাস্তা ধরে অবাধে চলাচল করে গরু-ছাগলসহ গৃহপালিত নানা পশু।

শহরের লোকজন বলছে, শহরে অবাধে গবাদিপশু চলাচল করে। কেউ কেই রাস্তার ধারে গরু-ছাগল চরান। এতে যাতায়াতকারী মানুষ বিড়ম্বনায় পড়ে। বিভিন্ন সময় ছোটখাটো কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে। বড় আকারের দুর্ঘটনাও সমূহ।

৩৪ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সৈয়দপুর পৌরসভায় চলাচলের জন্য পাকা ও কাঁচা সড়ক রয়েছে। বর্তমানে পাকা সড়ক মেরামত ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন পৌরসভার প্রশাসক ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-ই আলম সিদ্দিকী। শহরের ব্যস্ততম শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক মেরামত কাজ শেষ করে রেলওয়ে কারখানার যাতায়াতের সড়কটি মেরামত করা হচ্ছে। এরপর শহরের সবচেয়ে জরাজীর্ণ এলাকা তামান্না মোড় থেকে ওয়াপদা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়কটি সংস্কারে হাত দেবেন পৌর প্রশাসক।

সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত শহরের ব্যস্ত সড়কসহ প্রায় প্রতিটি সড়ক রেললাইনে অবাধে চরানো হয় হচ্ছে গবাদিপশু। ছেড়ে দেওয়া এসব গরু-ছাগল বিভিন্ন সময় বাসের নিচে পড়ে মারা যায়। কিছু কিছু মারা যায় ট্রেনে কাটা পড়ে।

রাস্তার ধারে গড়ে ওঠা হোটেল-রেস্টুরেন্টে খাবারের লোভে ঢুকে পড়ে পশুগুলো। ফলে এসব দোকানে আসা লোকজনও ঠিকমতো খাবার খেতে পারেন না। গবাদিপশুর গলায় দড়ি না থাকায় সেগুলোকে সহজে আটকানো যায় না। মানুষ শারীরিক ক্ষতির কথা চিন্তা করে পশুগুলোকে আটকাতেও পারে না।

স্থানীয়রা বলছেন, এমনিতেই শহরের কুকুরের উপদ্রব। গবাদিপশুগুলোও এখন এমনভাবে রাস্তা দখল করে রাখে, পরিস্থিতি কঠিন হয়ে ওঠে। মানুষের গরু-ছাগল ধরলেও বিপদ। নানা রকম অভিযোগ ওঠে। এসব নিয়ন্ত্রণে কেউ কোনো ভূমিকা পালন করে না।

শহরের সাহেবপাড়ার রজব আলী জানান, স্বাধীনতার পর থেকে নিজ নিজ ঘরের গবাদিপশু একক বা দলগতভাবে ছেড়ে দেন মালিকরা। কখনও রাখাল থাকে, কখনো থাকে না। বহু পবাদিপশু ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। অনেক সময় বড় দুর্ঘটনা থেকে ট্রেন রক্ষা পেয়েছে। এখনো পরিস্থিতির কোনো উন্নয়ন ঘটেনি। যারা গবাদিপশু পালন করেন তাদের বুদ্ধির উদয় হয়নি। নিজেরা ক্ষতির শিকার হচ্ছে, মানুষও নানা বেকায়দায় পড়ছে- তারা বোঝে না।

বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ার বাসিন্দা আজহার আলী বলেন, তিনি রংপুর রোড হয়ে মোটরসাইকেলে বাসায় ফেরার সময় একটা গরু সামনে চলে আসে। দ্রুত ব্রেক কষায় তিনি রাস্তায় পড়ে মারাত্মক আহত হন।

এ ব্যাপারে ইউএনও নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। মাইকিং করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিন্তা করা হচ্ছে। শহর যেহেতু আমাদের তাই এর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ মানুষের সমস্যা হয় এরকম কাজ থেকে পৌরবাসীকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৪
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।