ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভাঙচুর হয়নি প্রতিমা, মন্দির কমিটির দুপক্ষের দ্বন্দ্বে ছড়িয়েছে গুজব

ডিস্টিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪
ভাঙচুর হয়নি প্রতিমা, মন্দির কমিটির দুপক্ষের দ্বন্দ্বে ছড়িয়েছে গুজব শেরপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

শেরপুর: শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গাতে আসন্ন দূর্গাপূজার প্রতিমা ভাঙার তথ্যটি গুজব বলে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শ্রীবরদী উপজেলা শহরের শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে শেরপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক বিপ্লব দাম ঠান্ডু বলেন, শ্রীবরদী উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বাজারে ভূমি অফিস সংলগ্ন শ্রী শ্রী বারোয়ারী মন্দিরে গত রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে একটি বিরোধী চক্র মন্দিরের তালা ভেঙে আসন্ন দূর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতাধীন প্রতিমাগুলো একত্রিত করে রাখে। সেই সময় সদ্য মাটি দিয়ে প্রস্তুতকৃত খড়ের প্রতিমা থেকে কিছু মাটি খসে পড়ে যায়।  

কিন্তু এ বিষয়টিকে মন্দিরের বিরোধী চক্র প্রচার করে যে, শ্রী শ্রী বারোয়ারী মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এরপর বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার নেতারা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য একটি প্রতিনিধি দল পাঠায়।  

জানা যায়, মন্দির কমিটির দুপক্ষের দ্বন্দ্ব রয়েছে। তার জেরেই পূজা মন্ডপ অন্যত্র স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে প্রতিমাগুলো একত্রিত করা হয়। সেখানে প্রতিমা অক্ষত অবস্থায় ছিল। এছাড়া বর্তমান কমিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই অপর পক্ষ এই হীন অপচেষ্টা চালিয়েছে। আমরা বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শেরপুর জেলা শাখা লক্ষ্য করেছি, কোনো রকম যাচাই-বাছাই না করেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কিছু সংবাদমাধ্যমে ভুল সংবাদ উপস্থাপন করা হয়েছে। যা শেরপুরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অপচেষ্টা মাত্র।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সুব্রত চন্দ্র দে বাংলানিউজকে বলেন, মন্দিরে কোনো প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি, দু-পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে এমন একটা গুজব ছড়ানো হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আজকে আমরা এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছি।

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, ভায়াডাঙ্গায় প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগে সাজু বাসফর বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে আজ একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ওনারা সেখানে যেটি বলেছেন সেটি আমরা আন্দাজ করেছিলাম। অভিযোগ পেলে তো মামলা নিতেই হয়। এখন তদন্তে প্রকৃত ঘটনা কী সেটি বেরিয়ে আসবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।