ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ মাঘ ১৪৩১, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পল্লবীর ‘ব্লেড বাবু’ হত্যাকাণ্ডে ২ ভাই গ্রেপ্তার 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
পল্লবীর ‘ব্লেড বাবু’ হত্যাকাণ্ডে ২ ভাই গ্রেপ্তার 

ঢাকা: ‘রাজন গ্রুপ’ ও ‘ব্লেড বাবু’ গ্রুপের মধ্যে পল্লবী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ অপরাধ সংক্রান্ত আর্থিক দ্বন্দ্বের কারণে বাবুকে হত্যা করা হয়।  

রাজধানীর পল্লবীতে চাঞ্চল্যকর মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ওরফে ‘ব্লেড বাবু’ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মামলার অন্যতম আসামি দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মিরপুর বিভাগ।

প্রধান দুই আসামি হলেন- রাজন (৩৫) ও রনি (২৬)।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ১১ টার মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজন ও রনিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-মিরপুর বিভাগের একটি দল। পরে ওই রাত ৩ টার দিকে পল্লবী থানাধীন স্বপ্ননগর নতুন রোডের বাদশা মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে টিনের বেড়ার নিচ থেকে ব্লেড বাবুর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি-তেজগাঁও বিভাগ উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মিজানুর রহমান।

তিনি জানান, পল্লবীর বঙ্গবন্ধু কলেজের পশ্চিম পাশের নতুন রাস্তায় গত ২০ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পল্লবী এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাত ও মারধরে ভিকটিম মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পরে ভিকটিমকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার মিম বাদী হয়ে ২১ জানুয়ারি পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।  

তিনি আরও জানান, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের পর থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা শুরু করে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। ২০ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে পল্লবী থানাধীন সিরামিক রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ মামলার অন্যতম আসামি মো. মুরাদকে (২৭) গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। ২৪ জানুয়ারি মিরপুর-১০ নম্বর এলাকা থেকে ইরফান হোসেন তুফানকে (১৯) ও ২৬ জানুয়ারি রাত ১টার দিকে আসামি রাব্বি ওরফে কুত্তা রাব্বিকে (১৮) গ্রেপ্তার করা হয়। ২৬ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টায় পল্লবী থানাধীন কালাপানি এলাকা থেকে আরেক আসামি সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আসামি রাজন ও রনির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫
এমএমআই/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।