ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অফিস শেষে যানজটে ভোগান্তি কর্মজীবীদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৪
অফিস শেষে যানজটে ভোগান্তি কর্মজীবীদের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ঢাকার সড়কে তীব্র যানজট। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: একদিকে ইফতারের আগে চাকরিজীবীদের ঘরে ফেরার তাড়া, অন্যদিকে ঈদের কেনাকাটা করতে বের হওয়া মানুষের চাপ, তার ওপর সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস। এ তিন কারণ মিলে অফিস শেষে রাজধানীজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।

আর এ যানজটে আটকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কর্মজীবীসহ সাধারণ যাত্রীদের।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে যানজটের এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, সায়েন্সল্যাব, জিগাতলা, মোহাম্মদপুর, আসাদগেট, আড়ং, ধানমন্ডি ২৭, ধানমন্ডি ৩২, কলাবাগান, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, শান্তিনগর, কাকরাইল, নাইটেঙ্গেল মোড়, গুলিস্তান, ওয়ারি, সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কুড়িল, নতুনবাজার, বাড্ডা, প্রগতি সরণি, রামপুরা, মিন্টুরোড, গুলশান-১, গুলশান-২ এলাকার সড়কগুলোতে তীব্র যানজট রয়েছে। একেকটি সিগন্যাল পার হতে যানবাহনগুলোকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এমনকি যানজট সামাল দিতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরও হিমশিম খেতে হচ্ছে।

রাজধানীতে যানজট নিত্য ব্যাপার। অফিস শুরু ও শেষের সময় অবধারিতভাবেই পুরো রাজধানীজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। সপ্তাহের শুরু ও শেষ কর্মদিবসে তা কয়েকগুণ তীব্র রূপ ধারণ করে। সাধারণত বিকেলের যানজট শুরু হতো ৫টার পর থেকে। কিন্তু রমজানে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিস সময়সূচি নির্ধারণ করায় এখন বিকেল ৩টা থেকেই যানজট সৃষ্টি হয়।

কারণ হিসেবে যাত্রী, চালক-হেলপার ও ট্রাফিক সদস্যরা বলছেন, পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে অফিস শেষে সবাই একসঙ্গে বাসায় ফেরা শুরু করেন। যার কারণে সড়কে যানবাহনের ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়। এখন ঈদের আগে অনেকে কেনাকাটা করতে বের হচ্ছেন, যার কারণে যানজটের মাত্রা আরও বেড়েছে।

কারওয়ান বাজার মোড়ে সিগনালে আটকে থাকা তানজিল বাসের হেলপার মো. রফিক বলেন, রোজার প্রথম দিকে দুপুরের সময় যানজট ছিল না। এখন বাড়ছে, কারণ মানুষ মার্কেট করতে বের হচ্ছে। ঈদ যত এগোবে, যানজট তত বাড়বে।

শিকড় বাসের হেলপার আমজাদ বলেন, সকালের অফিস সময়ে আর ইফতারের ঘণ্টা খানেক আগে যানজট ভালো করে লাগে। অন্য সময় কমই থাকে। ইফতারের পর তো রাস্তা পুরোই ফাঁকা থাকে। তখন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে সময় লাগে না। কিন্তু ইফতারের আগে ১০ মিনিটের রাস্তা যেতে ঘণ্টা পার হয়ে যায়।

রমজানে তীব্র গরমে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। তার ওপর যাত্রীর তুলনায় গণপরিবহনের সংখ্যা কম হওয়ায় বাসগুলোতে ওঠার অবস্থাও থাকে না।

বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকা এক যাত্রী শামসুল আলম বলেন, দুপুরের দিকে সাধারণত যানজট থাকে না। কিন্তু বিকেল হলেই যানজট বেড়ে যায়। কারণ তখন সব অফিসগুলো ছুটি হয়। আবার পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে হলে ওই সময়ই যেতে হবে। কারণ অফিস থেকে তো আর আগে বের হওয়ার সুযোগ নেই। তাই ভোগান্তি হলেও কষ্ট করে যেতে হয় আমাদের।

হিমেল নামে আরেক যাত্রী বলেন, ঢাকার রাস্তায় সব সময়ই যানজট থাকে। ফ্রি বলতে কিছু নেই। শুধু ইফতার চলাকালীন রাস্তা ফ্রি বলা যায়। এছাড়া কোনো জায়গায় যেতে বাসে উঠলেই মিনিমাম এক ঘণ্টা নাই হয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৪
এসসি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।