ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফেসবুকে প্রেম করে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ২ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৪
ফেসবুকে প্রেম করে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ২ 

মেহেরপুর: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়, অতঃপর গড়ে তুলতেন প্রেমের সম্পর্ক। এরপর প্রতারণা করে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তহমিনা খাতুন (৩০) ও আজাদুল ইসলাম (৪৬) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মেহেরপুর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম।

এর আগে বুধবার (২০ মার্চ) দিনগত ৩টার দিকে বগুড়া জেলার শাহাজানপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মেহেরপুর জেলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ও ডিবি পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য পায়।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে আজাদুল ইসলাম বগুড়া জেলার শাহাজানপুর উপজেলার কুড়িপাড়া সুজাবাদের মধ্যপাড়া এলাকার মৃত কলিমদ্দিন আকন্দের ছেলে ও তহমিনা আক্তার তার স্ত্রী।

গ্রেপ্তার তাহমিনা প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে পরিচয় হয়ে এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। পরে প্রতারণা করে ফাঁদ পেতে চক্রটি ভক্তভোগীদের থেকে টাকা হাতিয়ে নিত। এতে নিঃস্ব হয়েছেন অনেক প্রবাসী আর বড়লোকের ছেলেরা। আর ওই নারীর প্রধান টার্গেট হতো প্রবাসীরা।

ওসি সাইফুল আলম জানান, মেহেরপুর সদর উপজেলার বেলতলা পাড়া গ্রামের আয়ূব আলীর ছেলে সোহেল রানা বাদী হয়ে মনিকা খাতুনসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা করেন। মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন, তহমিনা আক্তার, নাজাতারা বেগম, আলিফা বেগম, রফিকুল ইসলাম, তানজিলা বেগম, আবু তালেব, মোছা. রেহেনা বেগম, জাহাঙ্গীর আলম, মোছা. ছাহেরা বেগম ও মোছা. আনোয়ারা বেগম। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৬-৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়ে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, বাদীর ভাই ২০১৮ সালে কোরিয়া যান। সেই সময় থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মনিকা খাতুন পরিচয়দানকারী একজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। প্রথমে গল্প আড্ডা করলেও পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে মনিকা সাঈদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নেওয়া শুরু করেন। পরে তার বাবার অসুস্থতা ও মৃত্যু, মায়ের অসুস্থতা ও মৃত্যু, বাবার জমি সংক্রান্ত জটিলতার নিরসন ও পুলিশের হাতে আটকের নাটক সাজিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। রেমিট্যান্স, এজেন্ট ব্যাংকিং ও বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে এই টাকা হাতিয়ে নেন মনিকা ও তার লোকজন। এছাড়া সাঈদকে মামলা ও বিপদে ফেলার ভয় দেখিয়েও টাকা হাতিয়ে নেয় এই প্রতারক চক্রটি।

পরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৪
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।