ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দামি ব্র্যান্ডের নামে বিক্রি হচ্ছিল নিম্নমানের চিনি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪
দামি ব্র্যান্ডের নামে বিক্রি হচ্ছিল নিম্নমানের চিনি

মানিকগঞ্জ: আসন্ন রমজান উপলক্ষে ব্যান্ডের চিনির নামে নিম্নমানের চিনি মোড়কজাতকরণ করার অপরাধে ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমানকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।  

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের দুধবাজার এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল।

 

ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান শহরের দুধবাজার এলাকার মেসার্স আল-মাসুদ জেনারেল স্টোরের মালিক।  

জানা গেছে, সম্প্রতি ভারতীয় নিম্নমানের চিনি তীর ব্র্যান্ড ও ফ্রেশ ব্র্যান্ড (কোম্পানি) নামে বাজারজাত করণের জন্য ব্যবসায়ী মাসুদ বিপুল পরিমাণ চিনি মজুদ করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে মানিকগঞ্জ শহরের দুধবাজার এলাকায় মাসুদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মেসার্স আল মাসুদ জেনারেল স্টোরের গুদামে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।  

এ সময় ভারতীয় নিম্নমানের মোটা চিনি তীর ব্র্যান্ডের ৪৩৪ ও ফ্রেশ ব্র্যান্ডে ১৬ বস্তা মজুদ করা অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে ৫০০ বস্তায় দুই হাজার ৫০০ কেজি চিনি জব্দ করে অধিদপ্তর। পরে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এবং জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতারের নির্দেশনায় ব্যবসায়ী মাসুদকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। অভিযানের সময় সহযোগিতা করেন জেলা ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক সামছুন্নবী তুলিপ ও সদর থানার পুলিশ।  

জরিমানাকৃত ব্যবসায়ী মো. মাসুদ বলেন, টাঙ্গাইলের কালিহাতি থেকে তিনি চিনি বস্তা গুলো ক্রয় করে তার গুদামে রাখা ছিল। মজুদ করার অপরাধে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে চিনিগুলো ১২৮ টাকা কেজি করে বিক্রি করতে একটি ফরম দিয়েছে জেলা ভোক্তা অধিকার। যাদের কাছে চিনি বিক্রি করা হবে তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম ও মোবাইল নম্বর ভোক্তা অধিদপ্তরে জমা দিতে হবে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, আসন্ন রমজান মাসে অধিক মুনাফার উদ্দেশে নিম্নমানের এসব চিনি দেশের তীর ব্র্যান্ডের মোড়কের ৪৩৪ বস্তা ও ফ্রেশ ব্র্যান্ডের ১৬ বস্তা ভরে বাজারজাতকরণের জন্য ওই ব্যবসায়ী তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গুদামে মজুদ করেছিলেন। ভারতী এসব চিনি টাঙ্গাইল কালিহাতি থেকে ওই ব্যবসায়ী কিনে এনেছেন বলে জানিয়েছেন।  

তিনি আরও বলেন, এসব চিনি খুচরাবাজারে প্রতিকেজি ১২৮ টাকা বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভারতীয় এসব চিনি ‘চোরাই পথে’ টাঙ্গাইলে আনা হয় কিনা, তা নিশ্চিত হতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।