ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

স্বামীর বাড়ি থেকে গেলেন মায়ের বাসায়, ঝগড়ার পর দিলেন গলায় ফাঁস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
স্বামীর বাড়ি থেকে গেলেন মায়ের বাসায়, ঝগড়ার পর দিলেন গলায় ফাঁস

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মায়ের বাসা থেকে আয়েশা আক্তার মিতু (২৬) নামের এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ফতুল্লার আফাজ নগর এলাকার ওই বাসা থেকে মিতুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তিনি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার মূলফুতগঞ্জের ইতালি প্রবাসী হান্নান মিয়ার মেয়ে ও বিসিক শাসনগাঁও এলাকার যুবলীগ নেতা সোহেল মাতবর স্ত্রী। মিতু ও সোহেল উভয়েই দ্বিতীয় বিয়ের সংসার করছিলেন।

ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন মোল্লা স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, মিতু ইতালিপ্রবাসী ছিলেন। তিন বছর আগে তিনি দেশে আসেন। তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে আছেন। তার বর্তমান স্বামী বিসিকের স্থানীয় যুবলীগ নেতা সোহেল মাতবর। সোহেলের সঙ্গে চার মাস আগে পারিবারিকভাবে মিতুর বিয়ে হয়। এর আগে বনিবনা না হওয়ায় তিনি দেশে ফিরে এসে প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দেন। আগের সংসারে তার একটি ছেলে সন্তান আছে।  

এসআই জানান, সোমবার সকালে মিতু বিসিকে এলাকার স্বামীর বাড়ি থেকে আফাজ নগরে মায়ের বাসায় আসেন। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের মনোমালিন্য এবং কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মিতু তার মায়ের ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেন। দুপুর ১টার দিকে তার মা ও ভাইয়েরা ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না। এক পর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙে দেখতে পান, গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মিতুর নিথর দেহ সিলিং ফ্যানে ঝুলছে। তখন পরিবারের সদস্যরা তাকে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মিতুকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে মিতুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
এমআরপি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।