ঢাকা, সোমবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অবরোধের প্রথম দিন

নয়াপল্টনে যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি বাড়ছে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৩
নয়াপল্টনে যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি বাড়ছে 

ঢাকা: বিএনপির ডাকা টানা তিন দিন অবরোধের প্রথম দিনে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিলো। তবে সকালে এই এলাকায় যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়েছে।

বিএনপি কার্যালয় ও এর আশপাশ এলাকায় পুলিশ এখনও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।  

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টন,  কাকরাইল, নাইটেঙ্গেল মোড় ও ফকিরাপুল এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে৷ 

সরেজমিনে দেখা যায়, পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা রয়েছে নয়াপল্টন। এলাকায় অবরোধ কর্মসূচির সময় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে কিনা সেদিকে নজর রাখছে পুলিশ। পাশাপাশি ফকিরাপুল মোড় এবং নাইটেঙ্গেল মোড়েও অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে। এর আশপাশের এলাকায় সামনে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা থাকায় বিএনপির কোন নেতা কর্মীকে অবরোধ অবস্থানে থাকতে দেখা যায়নি। সকালের দিকে এ এলাকায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি কম ছিলো। দুই একটি বাস, ব্যক্তিগত কিছু গাড়ি, মোটরসাইকেল ও রিকসা ছাড়া সড়কে যানচলাচলের তেমন ভিড় ছিলো না।  

তবে বেলা ১১ টার পর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। সড়কে কর্মব্যস্ত মানুষজনের উপস্থিতি বাড়তে থাকে, সেই সঙ্গে গণ পরিবহনেরও সংখ্যা বাড়ছে।  

নাইটেঙ্গেল মোড়ে বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকা সাইফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, সকালে অফিসে আসতে একটু সমস্যা হয়েছিলো বাস পাওয়া যাচ্ছিলো না। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। অফিসের কাজে বাড্ডায় যাবো। এখন বাসের জন্য অপেক্ষায় আছি।

বেলা সারে এগারোটায় রিকশা চালক মো. রুবেল মিয়া বিএনপির কার্যালয়ের সামনে রিকশা নিয়ে যাত্রীর জান্য অপেক্ষা করছিলেন। কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, হরতাল অবরোধের মধ্যে সাধারণ মানুষ বের হয় না। আমাদের ইনকামও কম হয়। তারপরও যাত্রীর দেখা পাওয়া যায়না। জমা উঠাইতেই কষ্ট হয়ে যায়। প্রতিদিন জমা ১৪০ টাকা দিতে হয়। কিভাবে ঘরের জন্য বাজার নিয়ে যাব, সেই চিন্তায় আছি।

নয়া পল্টন থেকে খিলগাঁও রেলগেটে যাওয়ার জন্য রিকশা খুঁজছিলেন সাজিয়া সুলতানা নামের এক বিশ্ব বিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রী। সেখানে তার বড় ভাইয়ের কন্যা সন্তান হয়েছে একটি বেসরকারী হাসপাতালে। রাস্তার যাতায়তের পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় ৩০ মিনটের উপর নয়া পল্টনে দাঁড়িয়ে আছি। কোন রিকশা পাচ্ছিনা। যেটাও পাচ্ছি ভাড়া অতিরিক্ত চাচ্ছে। সাধারণ দিনে ভাড়া থাকে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মত। আজকে এই সামান্য রাস্তা ১৫০ টাকা চাচ্ছে। এই ধরনের অবরোধ জনভোগান্তি বাড়ায়। জরুরি প্রয়োজনে বিপদে পড়তে হয়।

প্রেসক্লাবের সামনে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা বাইক চালক মো রাফি বলেন, সকাল ৭ টায় বনশ্রী থেকে একটা ট্রিপ নিয়ে বেরিয়ে পল্টন আসলাম। এর পর এখন পর্যন্ত এদিক ওদিক ঘুরে কোন ট্রিপ পাই নাই। এখন লোকজন বাড়ছে, আসতেছে। কিন্তু ভাড়া কম বল দেখে যাচ্ছি না।

তবে সকাল থেকেই নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা ছিল। নয়াপল্টন এলাকায় অবরোধ কর্মসূচির সময় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে কিনা সেদিকে নজর রাখছে পুলিশ। পাশাপাশি ফকিরাপুল মোড় এবং নাইটেঙ্গেল মোড়েও অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে। বিএনপি ডাকা ৩ দিনের অবরোধে সকাল .১১টা পর্যন্ত বিএনপির কোন নেতাকর্মীকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দেখা যায়নি।  

অন্যদিকে অবরোধের প্রথম দিনে ফকিরাপুল থেকে নাইটেঙ্গেল পর্যন্ত এ রাস্তাটিতে সকল ধরনের যান চলাচল করলেও অন্যদিনের তুলনায় তা অনেকটাই কম।  

বিএনপির অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ মহিদ উদ্দিন বলেন, গত ২৮ তারিখে একটি সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়েছে। কাজে সে বিষয়টি আমাদের মাথায় রেখে সেভাবেই আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৩
ইএসএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।