ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ব্যবসায়ীর ওপর হামলা, পুলিশ সদস্য জড়িত থাকায় মামলা নিতে গড়িমসি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৩
ব্যবসায়ীর ওপর হামলা, পুলিশ সদস্য জড়িত থাকায় মামলা নিতে গড়িমসি

মাদারীপুর: মাদারীপুরে রাইচ মিল ব্যবসায়ীর ওপর হামলার ঘটনায় তুহিন মোল্লা নামে এক পুলিশ সদস্য জড়িত থাকায় মামলা নিতে গড়িমসি অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।  

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার ভদ্রখোলা এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটলেও শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত মামলা হয়নি।

 

আহত আমির আলী সরদার ভদ্রখোলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি খাদগী এলাকায় রাইচ মিল ব্যবসা করেন।  

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে নিজবাড়ি থেকে ব্যবসায়ের কাজে ভ্যানযোগে খাগদী এলাকার উদ্দেশে বের হয় আমির আলী সরদার। পথেমধ্যে বাদশা বেপারীর বাড়ির নিকট আসলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ভদ্রখোলা এলাকার জলিল মোল্লা (৬০), তুহিন মোল্লা (৩০) ও বশার মোল্লা (৪০)সহ বেশ কয়েকজন আমির আলীর ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। এ সময় হামলাকারীরা তার সঙ্গে থাকা নগদ ১০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা। পরে আহত অবস্থায় ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে ভর্তি করা জেলা সদর হাসপাতালে।

পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে পুলিশ।  

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে আহত আমির আলী সরদারের স্ত্রী সেলিনা বেগম বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু এখনো মামলা রেকর্ড হয়নি।

আহত আমির আলী সরদারের মেয়ে জামাই সুমন মাতুব্বর বলেন, থানা পুলিশ এখনো মামলা নিচ্ছে না। কারণ হামলাকারীদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্যও রয়েছে। তিনি অন্যজেলায় চাকরি করেন। আমরা এ হামলার বিচার চাই।

আহত আমির আলী সরদারের স্ত্রী সেলিনা বেগম বলেন, একজন পুলিশ সদস্য হয়ে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে। আমরা এর বিচার চাই।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিতাই চন্দ্র সাহা বলেন, মারামারির ঘটনা পুলিশ প্রাথমিকভাবে সত্যতাও পেয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজন পুলিশ সদস্য হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার নিয়মকানুন রয়েছে। প্রথমে তার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। পরে অনুমতি হলে নিয়মিত মামলা রেকর্ড হবে। মামলা নিতে থানা পুলিশের কোনো সমস্যা নেই।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান,  পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।