ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চা শিল্পাঞ্চলে ‘আশীর্বাদের বৃষ্টি’, ফিরল স্বস্তি

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২১ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
চা শিল্পাঞ্চলে ‘আশীর্বাদের বৃষ্টি’, ফিরল স্বস্তি

মৌলভীবাজার: চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে টানা তীব্র খরার পর শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে দেখা মেলে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির। পরিমাণে এই বৃষ্টি অল্প হলেও কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।

এই বৃষ্টির আশীর্বাদে দুটি পাতা একটি কুঁড়িতে ভরে উঠবে প্রতিটি চা বাগান।

শুক্রবার ৯ জুন ভোর ৫টা থেকে টানা কয়েক ঘণ্টা এবং আজ শনিবার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত একটানা বৃষ্টি ঝরেছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্তও বৃষ্টি ঝরছিল। টানা দুদিনের বৃষ্টিপাতের ফলে গাছ-গাছালিতে প্রাণ ফিরেছে, বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল উপজেলার চা বাগানগুলোতে।

শনিবার (১০ জুন) শ্রীমঙ্গল উপজেলার চা বাগান ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘ খরার পর স্বস্তির বৃষ্টি পেয়ে শুষ্ক চা বাগানে এখন অনেকটাই সবুজ হয়ে এসেছে। বৃষ্টিধারা গায়ে মেখে চা বাগানের পুরো সেকশনে চোখ মেলেছে দুটি পাতা একটি কুঁড়িরা।

এই প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাত চা বাগানের জন্য অনেক উপকারী বলে জানিয়েছেন চা বাগান সংশ্লিষ্টরা। চা বাগান  সংশ্লিষ্টরা বলেন, দীর্ঘ খরার পর এই বৃষ্টি যেন আশীর্বাদ হিসেবেই এসেছে।

তারা জানিয়েছেন, কয়েক মাসে তীব্র খরা ও নানা রোগের কারণে চা উৎপাদন হ্রাস পেয়েছিল। মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে লাল মাকড়সার আক্রমণসহ পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়েছে। সব মিলিয়ে মৌসুমের শুরুতে অর্ধেকের কম উৎপাদন হচ্ছে চা বাগানে।

বাংলাদেশীয় চা সংসদের (বিটিএ) সিলেট ব্রাঞ্চ চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ শিবলি বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় ও অধিক তাপমাত্রার কারণে বাগানে নতুন পাতা না আসায় উৎপাদন কমে গিয়েছিল। নতুন কুঁড়ি না আসা, পানির সংকট, লাল মাকড়সার আক্রমণ প্রায় সব চা বাগানেই ছিল। এই বৃষ্টিপাতের ফলে চা গাছগুলো সজীবতা ফিরে পেয়েছে। এখন চা গাছে দ্রুত নতুন কুঁড়ি আসবে, প্লাকিং শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার বেশি চা উৎপাদন হবে।

তীব্র খরার কারণে চা বাগান কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন চা বাগানের ইরিগেশন (সেচ) দিয়েও চা গাছগুলোকে শতভাগ রক্ষা করতে পারছিলেন না।  তীব্র দাবদাহের পর টানা বৃষ্টি চা শিল্পের জন্য সুফল বয়ে এনেছে বলে জানান এই অভিজ্ঞ টি-প্ল্যান্টার।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী শ্রীমঙ্গল উপজেলায় গত মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর চলতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, শ্রীমঙ্গলসহ চা শিল্পাঞ্চলে গত বৃহস্পতিবার ৮ জুন ২ মিলিমিটার, শুক্রবার  ৫৭ দশমিক ২ মিলিমিটার এবং শনিবার ১০ জুন বিকেল ৬টা পর্যন্ত ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩

বিবিবি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।