ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জাহাঙ্গীরনগর কলেজছাত্র হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা শাহীন গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
জাহাঙ্গীরনগর কলেজছাত্র হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা শাহীন গ্রেপ্তার

নওগাঁ: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র ফারাবি আহমেদ হৃদয় হৃদয় (২০) কে অপহরণের পর হত্যা ও মরদেহ গুমের ঘটনার অন্যতম আসামি শাহীন বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব- ৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পে সদস্যরা।

শুক্রবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার রামরায়পুর এলাকা থেকে শাহীনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার শাহীন জেলার পোরশা উপজেলার ঘাটনগর মোল্লাপাড়া গ্রামের মো. মুসা আলীর ছেলে।  

বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, গত ০৮ মে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র মো. হৃদয় (২০) নিখোঁজ হলে তার বাবা ফজলুল মিয়া আশুলিয়া থানায় জিডি করে। এছাড়া র‌্যাব-৪ সিপিসি-২ সাভার ক্যাম্প বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব সাভারের গোয়েন্দা দল ময়েজ হোসেন ওরফে পরান (২২) ও মো. সুমন মিয়া ওরফে বাপ্পী নামের দুই অপহরণকারীকে ১৮ মে আটক করে। র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয়কে অপহরণের পর হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন তারা। এবং এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি মো. শাহীন বাবু জড়িত থাকার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন তারা।  

এরপর র‍্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে গতকাল (শুক্রবার) মহাদেবপুর উপজেলা থেকে শাহীনকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে শাহীনকে র‌্যাব-৪ সিপিসি-২ সাভারে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত হৃদয় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ফজলুল হক মিয়ার ছেলে। সেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইসএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।  

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার পরান ও  হৃদয় একই এলাকার বাসিন্দা এবং পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। হৃদয়ের বাবা স্থানীয় প্রভাবশালী ও আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যক্তি। পরান ও তার সহযোগী বাপ্পী, শাহীন এবং অপর একজন পলাতক আসামি আকাশ আর্থিক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে হৃদয়কে অপহরণ করে তার পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করে আসছিল।

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৮ মে বিকেলে আসামিরা হৃদয়কে আড্ডা দেওয়ার কথা বলে সুকৌশলে আকাশের বাসায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তারা হৃদয়কে রশি দিয়ে বেঁধে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে মুক্তিপণ বাবদ ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে আসামিরা হৃদয়কে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং পরবর্তীতে তার মুখে বালিশচাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। তারপর হৃদয়ের মরদেহ বস্তাবন্দি করে সুকৌশলে ঘটনাস্থল থেকে রিকশাযোগে মোজারমেল এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দেয়। পরে আসামিরা আত্মগোপনের উদ্দেশে এলাকা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যায়।  

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে আশুলিয়ার মোজারমেলের স্টার্ন হাউজিং এলাকার একটি ডোবা থেকে ওই কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন >> অপহরণের ১০ দিন পর মিলল কলেজছাত্রের মরদেহ, আটক ২

বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।