ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রাণের মেলা ভাঙবে আজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
প্রাণের মেলা ভাঙবে আজ ছবি: শাকিল আহমেদ (ফাইল ফটো)

ঢাকা: অমর একুশে বইমেলার শেষদিন মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)। আগামীকাল থেকে বিস্তীর্ণ প্রান্তরে বইয়ের পসরা সাজিয়ে আর বসবেন না দোকানিরা।

বইপ্রেমী আর দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হবে না মেলা প্রাঙ্গণ। বাঙালির প্রাণের এ মেলার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও একটি বছর।

এ এক সুখের অনুভূতিও বটে। এই অপেক্ষার গল্পটি পাঠকের হৃদয়ে জাগাবে সুখের অনুভূতি। বন্ধু কিংবা প্রিয়জনদের সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আড্ডা আর বই কেনার মুহুর্মুহু প্রতিযোগিতার গল্পগুলো চির রঙিন হয়ে জেগে থাকবে হৃদয়ে।

এবার মেলার বিক্রি ও লোকসমাগম নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বেশিরভাগ প্রকাশক। করোনার কারণে গত দুই বছরের তুলনায় এবারের বেচাবিক্রি এবং জনসমাগম অনেক বেশি ছিল বলেও জানান তারা।

সোমবার মেলা ঘুরে চিরচেনা চিত্রেরই দেখা মেলে। বেলা ৩টায় প্রবেশদ্বার উন্মুক্ত হওয়ার আগে থেকেই প্রবেশপথ এবং এর আশপাশে জনসমাগম শুরু হয়ে যায়। দ্বার উন্মুক্ত হওয়ার পর ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে থাকে। বইপ্রেমীরা পছন্দের লেখকের বই কিনতে ছুটছে এক স্টল থেকে অন্য স্টলে।

প্রকাশকরাও পার করেছেন ব্যস্ত সময়। প্রতিটি স্টলের বিক্রয়কর্মীদের যেন দম ফেলার সময় নেই। গতকাল ছিল মেলার ২৭তম দিন। বিকেলে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশের প্রায় প্রতিটি স্টলে ছিল বইপ্রেমীদের ভিড়। প্রায় সবার হাতেই বইয়ের একাধিক ব্যাগ। কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাহাত হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রথম দিকে মেলায় এসে বইয়ের ক্যাটালগ সংগ্রহ করেছি। সেখান থেকে বাছাই করে ১৫টি বই কিনেছি।

এদিকে শেষবেলার বিক্রিতে প্রকাশরাও খুশি। তাম্রলিপির প্রকাশক একেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, এবারের মেলা তুলনামূলক অনেক ভালো হয়েছে। বলা যায় এবারের মেলায় শুরু থেকেই লোকসমাগম ও বেচাবিক্রি ভালো ছিল। মাঝে কয়েকদিন একটু কমে গিয়েছিল। এখন আবার মেলার শেষ বেলায় এসে ভিড় ও বিক্রি দুটোই বেড়েছে।

ইত্যাদি প্রকাশনী স্বত্বাধিকারী আদিত্য অন্তর বলেন, এবারের মেলা নিয়ে সেভাবে হতাশার কোনো জায়গা ছিল না। সব মিলিয়ে একটি সুন্দর মেলা উপহার দিতে পেরেছে বাংলা একাডেমি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌফিক মাহমুদ বলেন, একজন বইপ্রেমী হিসেবে আমি সারাবছর মেলার জন্যে অপেক্ষা করি। যে কদিন মেলা চলে, সেই কদিন যেন প্রাণের মধ্যে আনন্দের দোলা লাগে। আশা করছি আগামী বছর আবারও নতুন আঙ্গিকে সফল একটি আয়োজনের মাধ্যমে এ প্রাণের মেলাকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
এইচএমএস/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।