ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি: ২ আসামির জামিন আবেদন খারিজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি: ২ আসামির জামিন আবেদন খারিজ হাইকোর্ট। ফাইল ফটো

ঢাকা: ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিহত বাংলাদেশিদের পাচারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মানবপাচার আইনের মামলায় সিলেটের নিউ ইয়াহিয়া ওভারসিজের এনামুল হক ও আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়ার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। ফলে তাদের কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।  আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিরোজ আলম।  

গত ১৪ অক্টোবর আসামিদের জামিন দেওয়া হবে না মর্মে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, গত ৯ মে অবৈধভাবে ইউরোপে গমনকালে ভূমধ্যসাগরের তিউনেশিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে ৮৫ থেকে ৯০ জন নিহত বা নিখোঁজ হন। এর মধ্যে ৩৯ জন ছিলেন বাংলাদেশি। এ ঘটনায় মফিজ উদ্দিন তার আত্মীয় মারা যাওয়ায় ৩৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংয়ের জন্য ও মানবপাচার আইনে গত ১৭ মে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।  

এ ঘটনায় গত ১৭ মে তিনজনকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন শরীয়তপুরের বাসিন্দা মো. আক্কাস মাতুব্বর, সিলেটের বাসিন্দা এনামুল হক তালুকদার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মো. আবদুর রাজ্জাক। সিলেটের জিন্দাবাজারে এনামুল হকের ‘ইয়াহিয়া ওভারসিজ’ নামে একটি এজেন্সি রয়েছে। তিনি গত ১০ থেকে ১২ বছর ধরে এভাবে মানবপাচার করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার প্রতিষ্ঠানের দালাল হিসেবে কাজ করেন আবদুর রাজ্জাক।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা শরীয়তপুরের নড়িয়া ও সিলেটের বিশ্বনাথ থানায় আরও দুটি মামলা করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
ইএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।