ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ মাঘ ১৪৩১, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০ শাবান ১৪৪৬

আইন ও আদালত

তুরাগ নদের তীরবর্তী ৩০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
তুরাগ নদের তীরবর্তী ৩০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ

ঢাকা: তুরাগ নদের তীরবর্তী ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৪ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল এবং বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

 
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা।

পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, আদালত কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন।  সেগুলো হলো:

১. আগামী ৪ মাসের মধ্যে জুডিসিয়াল ইনকোয়ারির প্রতিবেদন অনুসারে অবৈধ দখলদারদের অপসারণ করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

২. আগামী ৬ মাসের মধ্যে ডিজিটাল ডাটাবেজ প্রণয়নের ক্ষেত্রে এসপিএ, আরআর, এসও স্যাটেলাইটের সাহায্যে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল নদনদী খাল বিল জলাশয়ের ভৌগোলিক অবস্থান নির্ণয় এবং জীববৈচিত্র্য বিষয়ক তথ্যাদি সংগ্রহপূর্বক সব ইউনিয়ন উপজেলা এবং জেলার ম্যাপ প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট স্ব স্ব দপ্তর সব নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত স্থানে বিলবোর্ড আকারে প্রদর্শন করবে এবং নাগরিক নির্ধারিত ফিসের বিনিময়ে যেন ওই ডাটাবেজ বা ম্যাপ সংগ্রহ করতে পারে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উপজেলা এবং জেলা প্রশাসনের কার্যালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এবং সম্পাদন করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

৩.  নদী কমিশনের সাবেক  চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদারের প্রস্তুতকরা অবৈধ দখলদারদের তালিকা আপডেট করে আগামী ছয় মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।

তুরাগ নদীর তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১৬ সালে একটি রিট পিটিশন  করে। ওই রিট পিটিশনের শুনানি শেষে আদালত জুডিসিয়াল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করে তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনার তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলেন। পরবর্তীতে গাজীপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রায় ৩০ টি ব্যক্তিগত ও শিল্প-প্রতিষ্ঠান দখলদারদের নাম উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।

ওই রিট পিটিশন শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ১৭ দফা নির্দেশনা প্রদান করেন এবং মামলাটি চলমান হিসেবে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

কয়েক বছর অতিক্রান্ত হলেও রায় বাস্তবায়ন না হওয়ায় এবং আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ না হওয়ায় এবং নদী তীরবর্তী অবৈধ প্রতিষ্ঠানসমূহ উচ্ছেদ না হওয়ায় হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আদালতে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
ইএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।